
জলপাইগুড়ি: প্রধান শিক্ষিকাকে কান ধরে ওঠবোস করানোর ঘটনায় এবার রিপোর্ট তলব করল কলকাতা হাইকোর্ট। জলপাইগুড়ি জেলা বিদ্যালয় পরিদর্শক (DI)-কে আগামী দু’সপ্তাহের মধ্যে রিপোর্ট দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন কলকাতা হাইকোর্টের জলপাইগুড়ি সার্কিট বেঞ্চের বিচারপতি কৌশিক চন্দ। তৃণমূল নেতা তথা জলপাইগুড়ি পুরসভার বর্তমান চেয়ারম্যান সৈকত চট্টোপাধ্য়ায়ের বিরুদ্ধে স্কুলের প্রধান শিক্ষিকাকে ওঠবোস করানোর অভিযোগ ওঠে।
ঘটনাটি মাসকয়েক আগের হলেও সম্প্রতি বিধানসভার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী এক্স মাধ্যমে সেই ঘটনার সিসিটিভি ফুটেজ প্রকাশ করায় বিতর্ক চরমে পৌঁছয়। জলপাইগুড়ির সুনীতিবালা সদর বালিকা বিদ্যালয়ের ঘটনা। ওই ফুটেজে দেখা যাচ্ছে, প্রধান শিক্ষিকাকে কান ধরে ওঠবোস করাচ্ছেন স্কুলের পরিচালন সমিতির সভাপতি তথা জলপাইগুড়ি পুরসভার তদানীন্তন ভাইস চেয়ারম্যান সৈকত চট্টোপাধ্য়ায়।
বিষয়টি সামনে আসার পর সৈকত চট্টোপাধ্যায় পুরোটা উড়িয়ে দিলেও মুখ খোলেন ওই প্রধান শিক্ষিকা। ঘটনাটি যে সত্যি, সেই অভিযোগ সংবাদমাধ্যমের সামনে জানান তিনি। তিনি এও জানান যে এই বিষয়ে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে জানিয়েও কোনও লাভ হয়নি। এরপর মামলা গড়ায় হাইকোর্টে। সার্কিট বেঞ্চে বিচারপতি চন্দের বেঞ্চে ওঠে মামলা। বিচারপতি দুই পক্ষের বক্তব্য শোনার পর স্কুল পরিদর্শককে দুই সপ্তাহের মধ্যে রিপোর্ট জমা করার নির্দেশ দেন।
তবে সৈকত চট্টোপাধ্যায় এখনও দাবি করছেন যে এটা পুরোটাই রাজনৈতিক চক্রান্ত, এই অভিযোগের কোনও সত্যতা নেই। পরিচালন সমিতির সভাপতি হিসেবে কাজ করার ক্ষেত্রে আদালত কোনও বাধা দেয়নি, সেই বিষয়টাকে সত্যের জয় বলেই উল্লেখ করেছেন এই তৃণমূল নেতা। উল্লেখ্য, তিনি আগেই দাবি করেছিলেন ভিডিয়োটি AI দ্বারা নির্মিত।
ভিডিয়ো প্রকাশ্যে আসার কয়েকদিনের মধ্যেই পুরসভার চেয়ারম্যান হিসেবে শপথ গ্রহণ করেছেন তিনি। এটাই প্রথমবার নয়, আত্মহত্যায় প্ররোচনা দেওয়া থেকে কনস্টেবলকে চড় মারার মতো একাধিক অভিযোগ উঠেছে সৈকতের বিরুদ্ধে। সাম্প্রতিক এই ঘটনায় রিপোর্ট তলব করেন তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও।