Calcutta High Court: সিংহীর নামে ‘সীতা’ হল কেন? মামলায় এবার রাজ্যের কাছে রিপোর্ট তলব হাইকোর্টের
Calcutta High Court: ত্রিপুরা থেকে বাংলায় আসে ওই সিংহ দম্পতি। ত্রিপুরার বিশালগড়ের সিপাহিজালা জুওলজিকাল পার্ক থেকে আনা হয়েছিল তাদের। গত ১২ ফেব্রুয়ারি বেঙ্গল সাফারি পার্কে পৌঁছয় ওই সিংহ দম্পতি। অভিযোগ, ত্রিপুরা থেকে আনার সময় এদের কোনও নাম ছিল না।

জলপাইগুড়ি: সিংহীর নামকরণ নিয়ে মামলা চলছে কলকাতা হাইকোর্টে। ত্রিপুরা থেকে বাংলায় আনার পর বদলে ফেলা হয় সিংহ দম্পতির নাম। সিংহের নাম হয় আকবর আর সিংহীর নাম সীতা। সিংহীর নামে আপত্তি জানিয়েই আদালতের দ্বারস্থ হন বিশ্ব হিন্দু পরিষদের সদস্যরা। সেই মামলায় এবার রাজ্যের কাছে রিপোর্ট তলব করল হাইকোর্ট। জলপাইগুড়ি সার্কিট চেঞ্জের বিচারপতি সৌগত ভট্টাচার্যের বেঞ্চে চলছে মামলা। বুধবারই রিপোর্ট তলব করা হয়েছে রাজ্যের কাছে। বৃহস্পতিবার ফের এই মামলার শুনানি রয়েছে।
আইনজীবী সুদীপ্ত মজুমদার জানান, প্রথমে বলা হয়েছিল, ওয়েস্ট বেঙ্গল জু অথরিটির তরফে সিংহ ও সিংহীর নামকরণ করা হয়েছিল। পরে ওই অথরিটি সেই বক্তব্য থেকে সরে আসে বলে অভিযোগ। ফলে একটি ধোঁয়াশা তৈরি হয়েছে। আদৌ নামকরণ হয়েছে কি না, সেটা জানতে চেয়েই রিপোর্ট তলব করেছেন বিচারপতি।
ত্রিপুরা থেকে বাংলায় আসে ওই সিংহ দম্পতি। ত্রিপুরার বিশালগড়ের সিপাহিজালা জুওলজিকাল পার্ক থেকে আনা হয়েছিল তাদের। গত ১২ ফেব্রুয়ারি বেঙ্গল সাফারি পার্কে পৌঁছয় ওই সিংহ দম্পতি। অভিযোগ, ত্রিপুরা থেকে আনার সময় এদের কোনও নাম ছিল না। প্যানথেরা লায়ন মেল ও ফিমেল বলে চিহ্নিত করা হয়েছিল তাদের। পরে বাংলায় আসার পর আকবর ও সীতা নাম রাখা হয়। বিশ্ব হিন্দু পরিষদের দাবি, কোনও দেব-দেবীর নামেই পশুর নামকরণ করা উচিত নয়। এই ইস্যুতেই রাজ্যের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়। স্টেট জু অথরিটি এবং বেঙ্গল সাফারি ডাইরেক্টরকে মামলার পার্টি করা হয়েছে।





