বানারহাট: কেন্দ্রের প্রতিনিধি দল এসেছে রাজ্যে। আগামিকাল জলপাইগুড়িতে আসছে তারা। ঠিক তার আগের দিন জেলার বিভিন্ন স্কুলে চলছে সাফাই সহ রঙ করার কাজ। এমনই ছবি ধরা পড়ল ডুয়ার্সের গয়েরকাটা, বানারহাট এলাকার বিভিন্ন স্কুলে।
অভিযোগ, দীর্ঘদিন ধরে স্কুলগুলির পরিচর্যা, সাফাই সহ অন্যান্য কাজ গুলি সঠিক ভাবে করা করা হয়নি। এমনকী মিড-ডে মিলের খাবারের গুণগত মান ও পরীক্ষা করে দেখা হয়নি। খাবারের মান ভাল ছিল না। কখনো খাবারে কোথাও মিলেছে সাপ কোথাও টিকটিকি তো কোথাও বা আরশোলা। এমনই অভিযোগ উঠেছে ভূরি-ভূরি। আর সেই সমস্ত লুকোতে, কেন্দ্রীয় প্রতিনিধি দলের কাছে যাতে প্রশ্নের মুখে পড়তে না হয়। তাই নিজেদের স্বচ্ছতা তুলে ধরতেই এই কাজগুলি করা হচ্ছে বলে কটাক্ষ করেছে বিজেপি-র। যদিও এই অভিযোগ মানতে নারাজ জেলা প্রাথমিক শিক্ষা সংসদ এর চেয়ারম্যান লৈখ্যমোহন রায়।
জেলা প্রাথমিক শিক্ষা সংসদ এর চেয়ারম্যান লৈখ্যমোহন রায় বলেন, “আমাদের মিড-ডে মিল যেভাবে গতানুগতিক ধারায় চলার সেভাবেই চলছে। আমরা শুধু সকলকে সতর্ক করে দিয়েছি যে কেন্দ্রীয় প্রতিনিধি দল আসছে। আপনাদের কাছে যেন অশালীন বা খারাপ ব্যবহার না পায়। যেভাবে রাজ্য সরকার বাচ্চাদের খাওয়ায়, বাচ্চাদের প্রতি যত্ন নেয় এবং খাওয়ারের তালিকা করে তারজন্য একজন আধিকারিক নিয়োগ করেছে। আমরা সেই আধিকারিক ও আশা কর্মীদের বলেছি স্কুলে স্কুলে গিয়ে খতিয়ে দেখতে বলেছি। এবং হেলথ্ কার্ড বলে একটা কার্ড আছে সেখানেও বাচ্চাদের তথ্য পাওয়া যাবে। আমাদের সব স্কুল সুসজ্জিত রয়েছে। বর্ষা পার হলে অনেকে বাড়িঘরও রঙ করে, স্কুলটাও আমাদের বাড়ি। কেউ যদি এটাকে অন্যভাবে বলে তাহলে সেটা গল্প।”
বিজেপির ধূপগুড়ি টাউন কনভেনার চন্দন দত্ত বলেন, “এগুলো সব লোক দেখান বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে। আমরা সবাই জানি কেন্দ্রীয় প্রতিনিধি দল আসছে বলেই বিভিন্ন স্কুলগুলোয় রঙচঙ করা হচ্ছে। খাওয়ারের যে গুণগত মান যে কী হয় সেটা আমরা সকলেই জানি। আমাদের রাজ্যে মিড-ডে মিলের চাল অবধি চুরি হয়। তাই এসব করে বিশেষ কিছু লাভ হবে না। সারাবছর স্কুলগুলো নোংরা আবর্জনায় ভরপুর হয়ে থাকে তখন কেউ খোঁজ নেয়না। এগুলো করে শাক দিয়ে মাছ ঢাকার চেষ্টা করা হচ্ছে। এখন কেন্দ্রীয় প্রতিনিধি দল আসছে বলে তৎপরতা দেখাচ্ছে। সারাবছর কী করে। সারাবছর তো এরা মিড-ডে মিলের চাল চুরি করে।”