AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

Jalpaiguri: চিকিৎসকের দেখা নেই, রোগীর মৃত্যু, নাগরাকাটায় প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে শোরগোল

Chaos over patient death: তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ নিয়ে চিকিৎসক অভিজিৎ মণ্ডল বলেন, “অত্যন্ত দুঃখজনক ঘটনা। আমার নিজেরও শরীর খারাপ ছিল। রোগীকে আনার কিছুক্ষণ আগে আমি দায়িত্ব অন্য চিকিৎসকের কাছে দিয়ে এসেছিলাম।” ঘটনাটি নিয়ে ব্লক স্বাস্থ্য আধিকারিক চিকিৎসক মোল্লা ইরফান হোসেন জানান, “ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে। দুই চিকিৎসককেই শোকজ নোটিশ পাঠানো হবে।”

Jalpaiguri: চিকিৎসকের দেখা নেই, রোগীর মৃত্যু, নাগরাকাটায় প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে শোরগোল
অন ডিউটি চিকিৎসক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে ছিলেন না বলে অভিযোগImage Credit: TV9 Bangla
| Edited By: | Updated on: Dec 07, 2025 | 10:22 PM
Share

নাগরাকাট: অন ডিউটি চিকিৎসকেরই দেখা নেই। পর্যাপ্ত চিকিৎসা না পেয়ে রোগীমৃত্যুর অভিযোগ। ঘটনাকে কেন্দ্র করে উত্তেজনা ছড়াল জলপাইগুড়ির নাগরাকাটার লুকসান এলাকায়। লুকসান প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে শেখ আলাউদ্দিন (৬৫) নামে এক রোগীর মৃত্যুতে অন ডিউটি চিকিৎসকের বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপের দাবিতে উত্তেজনা ছড়ায়। ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে বলে জানিয়েছেন ব্লক স্বাস্থ্য আধিকারিক।    

মৃত শেখ আলাউদ্দিনের বাড়ি লুকসান মোড় এলাকায়। রবিরা গুরুতর অসুস্থ অবস্থায় তাঁকে লুকসান প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে নিয়ে আসেন পরিজনরা। তাঁদের অভিযোগ, আলাউদ্দিনকে প্রথমে লুকসান প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে নিয়ে আসা হলে সেখানে কোনও চিকিৎসক উপস্থিত ছিলেন না। খাতায় কলমে একজন চিকিৎসক সেইসময় স্বাস্থ্যকেন্দ্রে থাকলেও বাস্তবে স্বাস্থ্যকেন্দ্রে দেখা যায়নি। বাধ্য হয়ে আলাউদ্দিনকে এলাকার এক চিকিৎসকের প্রাইভেট চেম্বারে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে চিকিৎসক দ্রুত হাসপাতালে ভর্তি করার নির্দেশ দেন।

এরপর তাঁকে ফের ওই স্বাস্থ্যকেন্দ্রে ফিরিয়ে আনা হয়। কিছুক্ষণ পর একজন চিকিৎসক আসেন। এরপর রোগীকে এক নার্স ইনজেকশন দেন। কিছুক্ষণ পরই আলাউদ্দিনের মৃত্যু হয়। মৃতের নাতি হাসমত আলির দাবি, “দাদুকে ইনজেকশন দেওয়া হয়। তারপরই তিনি মারা যান। এই স্বাস্থ্যকেন্দ্রে প্রায়ই চিকিৎসক থাকেন না। আজও যার ডিউটি ছিল সেই চিকিৎসক অভিজিৎ মণ্ডল ছিলেন না। আমরা এর বিচার চাই।” তাঁদের অভিযোগ, এর আগেও চিকিৎসক অভিজিৎ মণ্ডলের নামে অন ডিউটি অবস্থায় স্বাস্থ্যকেন্দ্রে না থাকার অভিযোগ উঠেছে।

তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ নিয়ে চিকিৎসক অভিজিৎ মণ্ডল বলেন, “অত্যন্ত দুঃখজনক ঘটনা। আমার নিজেরও শরীর খারাপ ছিল। রোগীকে আনার কিছুক্ষণ আগে আমি দায়িত্ব অন্য চিকিৎসকের কাছে দিয়ে এসেছিলাম।” ঘটনাটি নিয়ে ব্লক স্বাস্থ্য আধিকারিক চিকিৎসক মোল্লা ইরফান হোসেন জানান, “ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে। দুই চিকিৎসককেই শোকজ নোটিশ পাঠানো হবে।”