ধূপগুড়ি: অমরনাথে মেঘ ভাঙা বৃষ্টির জেরে অন্তত ১৫ জনের মৃত্যুর খবর এসেছে শুক্রবার রাতেই। নদীর স্রোতে কার্যত ভেসে গিয়েছেন একাধিক যাত্রী। এখনও অনেকের খোঁজ পাওয়া যায়নি। সেখানেই আটকে পড়েছেন এ রাজ্যের বেশ কয়েকজন পর্যটক। ধূপগুড়ির ছয় বাসিন্দাও গিয়েছেন অমরনাথে। তাঁরাও ভয়াবহ বিপর্যয়ের কবলে পড়েন বলে জানা গিয়েছে। এর মধ্যে দু’জন কোনও ক্রমে ক্যাম্পে পৌঁছতে পারলেও, বাকিরা এখনও পৌঁছতে পারেননি। প্রাকৃতিক বিপর্যয়ের পর আপাতত অমরনাথ যাত্রা স্থগিত করে দেওয়া হয়েছে। তাঁরা যাতে নিরাপদে বাড়ি ফিরে আসতে পারেন, সেই প্রার্থনাই করছেন পরিবারের সদস্যরা।
ধসের জেরে আটকে পড়া পাঁচজনের নাম জানা গিয়েছে। এঁরা হলেন, খলাই গ্রামের বাসিন্দা অপু ভাওয়াল, ধূপগুড়ির ১৪ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা দেবব্রত দাস, ৮ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা অপু পাল, নেতাজি পাড়ার বাসিন্দা টনি পাল এবং শুভজিৎ দাস। এঁদের মধ্যে প্রথম ২ জন ক্যাম্পে ফিরে এসেছেন বলে জানা গিয়েছে। তাঁদের সঙ্গে ফোনে যোগাযোগ করা সম্ভব হয়েছে। অপু ভাওয়ালের সঙ্গে যোগাযোগ করা সম্ভব হয়েছে। তিনি জানিয়েছেন, ঘটনার পর প্রায় ১৮ ঘণ্টা ধরে তাঁরা ছন্নছাড়া অবস্থায় ঘুরে বেড়িয়েছেন। কার্যত প্রাণ হাতে করে তাঁরা কোনও মতে ক্যাম্পে ফিরে আসেন। বাকি চার জনের খোঁজেও স্থানীয় প্রশাসনের সঙ্গে যোগযোগ করা হয়েছে বলে তাঁরা জানিয়েছেন। পরিবারের তরফে প্রশাসনের সঙ্গে যোগাযোগ করা হচ্ছে। শনিবার সকালে ক্যাম্পে পৌঁছে যাওয়ার পর দুই যুবকরা জানান, তাঁদের সঙ্গে যাওয়া বাকি চার যুবক ও ভাল আছেন, তাঁদের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়েছে ফোনের মাধ্যমে। তবে তাঁরা এখনও ক্যাম্পে পৌঁছতে পারেননি।
এই ছজন প্রত্যেকেই পেশায় ব্যবসায়ী। তাঁরা ট্রেনে চেপে অমরনাথ গিয়েছিলেন। সেখানে তাঁরা হেঁটে অমরনাথের দিকে রওনা দেন। হঠাৎ মেঘ ভাঙা বৃষ্টি নামলে ছ’জনই ছন্নছাড়া হয়ে যান। শেষ পর্যন্ত ২ জন নিরাপদে ফিরে আসেন ক্যাম্পে। বাকি চার জনের সঙ্গে মাঝে যোগাযোগ পর্যন্ত বিচ্ছিন্ন হয়ে গিয়েছিল। এখনও তারা ছন্নছাড়া হয়ে রয়েছেন।
শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত মেঘ ভাঙা বৃষ্টির জেরে ১৫ জন মারা গিয়েছেন। নিখোঁজ অন্তত ৪০জন। মৃতের সংখ্যা আরও পারে বলে আশঙ্কা করছে প্রশাসন।