AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

Jalpaiguri: জলপাইগুড়িতে নাবালিকাকে ধর্ষণ করে খুনে দোষীসাব্যস্তর ফাঁসির সাজা

Jalpaiguri: সরকারি আইনজীবী দেবাশিস দত্ত বলেন, "ঘটনার দিন ধূপগুড়িতে পঞ্চায়েতের বোর্ড গঠন ছিল। গ্রামের বেশিরভাগ পুরুষ সেখানে গিয়েছিলেন। নাবালিকার বাবা-কাকাও সেখানেই ছিলেন। মেয়েটি দুপুরে তার বান্ধবীদের সঙ্গে খেলছিল। তারপর একটি জলের বোতল হাতে নিয়ে ওই প্রতিবেশী যুবকের বাড়িতে যায়।"

Jalpaiguri: জলপাইগুড়িতে নাবালিকাকে ধর্ষণ করে খুনে দোষীসাব্যস্তর ফাঁসির সাজা
সাজাপ্রাপ্ত যুবকImage Credit source: TV9 Bangla
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Jun 11, 2025 | 4:41 PM

জলপাইগুড়ি: প্রতিবেশীর বাড়িতে জল আনতে গিয়ে নিখোঁজ হয়ে গিয়েছিল নাবালিকা। পরে তার দেহ উদ্ধার হয়। তদন্তে জানা যায়, নাবালিকাকে ধর্ষণের পর খুন করা হয়েছে। নাবালিকাকে ধর্ষণ ও খুনের এই মামলায় দোষীসাব্যস্ত যুবককে ফাঁসির সাজা দিল জলপাইগুড়ির বিশেষ পকসো আদালত। বুধবার রায় শুনে আদালত চত্বরে কেঁদে ফেললেন মৃত নাবালিকার বাবা-মা।

ধূপগুড়ির বছর এগারোর ওই নাবালিকাকে ধর্ষণ ও খুনের ঘটনাটি ঘটেছিল ২০২৩ সালের ২৯ সেপ্টেম্বর। পুলিশ জানিয়েছে, সাজাপ্রাপ্ত হরিপদ রায় নিহত নাবালিকার প্রতিবেশী। তার বাড়িতে জল আনতে গিয়েছিল ওই নাবালিকা। তাকে ধর্ষণের পর খুন করে ওই যুবক। এরপর দেহ বস্তায় ভরে সাইকেলে করে নিয়ে গিয়ে ডুড়ুয়া নদীতে ফেলে দেয়। পরে দেহ উদ্ধার হয়। এলাকার সিসি ক্যামেরার ফুটেজ খতিয়ে দেখে গ্রেফতার করা হয় হরিপদকে। এদিন তাকে ফাঁসির সাজা দেন জলপাইগুড়ির বিশেষ পকসো আদালতের বিচারক রিন্টু শূর।

সরকারি আইনজীবী দেবাশিস দত্ত বলেন, “ঘটনার দিন ধূপগুড়িতে পঞ্চায়েতের বোর্ড গঠন ছিল। গ্রামের বেশিরভাগ পুরুষ সেখানে গিয়েছিলেন। নাবালিকার বাবা-কাকাও সেখানেই ছিলেন। মেয়েটি দুপুরে তার বান্ধবীদের সঙ্গে খেলছিল। তারপর একটি জলের বোতল হাতে নিয়ে ওই প্রতিবেশী যুবকের বাড়িতে যায়। তার বান্ধবী এবং সেখানে উপস্থিত এক মহিলা তা দেখেছিলেন। এরপর আর নাবালিকাকে ওই বাড়ি থেকে বেরিয়ে আসতে দেখা যায়নি। পরে নাবালিকার বাবা-কাকা বাড়ি ফিরে এসে তার খোঁজ করে। চারিদিকে খোঁজাখুঁজি শুরু হয়। কিন্তু, পাওয়া যায়নি। বিকেলে ওই যুবককে সাইকেলে একটি বস্তা নিয়ে যেতে দেখা যায়। নাবালিকার মা ও অন্যরা তাকে এই নিয়ে জিজ্ঞসা করলে সে জানায়, স্ত্রী, সন্তান শ্বশুরবাড়িতে রয়েছে। তাদের পোশাক নিয়ে যাচ্ছে। ডুডুয়া নদীতে নাবালিকার বস্তাবন্দি দেহ উদ্ধারের পর অনেকেই বস্তাটি দেখে চিনতে পারেন। এলাকার একটি বাড়ির সিসিটিভিতেও ওই যুবককে ডুডুয়া নদীর দিকে যেতে দেখা যায়। ওই যুবকের বাকি থেকে নাবালিকার হাতে থাকা জলের বোতলও উদ্ধার হযেছে। বিচারক এই ঘটনাকে বিরলের মধ্যে বিরলতম বলেছেন।”

এদিন রায় ঘোষণার পর আদালত চত্বরে দাঁড়িয়ে কেঁদে ফেলেন নিহত নাবালিকার বাবা, মা। নাবালিকার বাবা বলেন, “আমার মেয়ে নিখোঁজ হয়ে গিয়েছিল। অনেক খুঁজেও তাকে পাইনি। এরপর তার বস্তাবন্দি দেহ উদ্ধার হয়। এতদিনে বিচার পেলাম। এই রায়ে আমি খুশি। বিচারককে ধন্যবাদ জানাই।”