ধূপগুড়ি: একদিন আগেই যোগ দিয়েছিলেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Abhishek Banerjee) সভায়। ধূপগুড়ি উপনির্বাচনের আবহে রাতারাতি ফুল বদলে তৃণমূল থেকে বিজেপিতে ভিড়েছিলেন প্রাক্তন বিধায়ক মিতালি রায়। গোটা বিধানসভা ক্ষেত্রের পাশাপাশি তাঁর বুথেও ভরাডুবি হয়েছে পদ্ম শিবিরের। তা নিয়েই এবার সোশ্যাল মিডিয়ায় খোঁচা তৃণমূল মুখপাত্র দেবাংশু ভট্টাচার্যের। উপনির্বাচনের ফলাফলে দেখা যাচ্ছে মিতালি রায়ের ২০৩ নম্বর বুথে তৃণমূল কংগ্রেস পেয়েছে ৪৮৪টি ভোট। বিজেপি পেয়েছে ২৮৮টি ভোট। অর্থাৎ১ ৯৬ ভোটের লিড রয়েছে তৃণমূল কংগ্রেস প্রার্থীর। যদিও মিতালি রায়ের দাবি, জয় না এলেও এলাকায় আগের থেকে ভোট বেড়েছে বিজেপির।
এখানে খোঁচ দিয়ে দেবাংশু খানিক কবিতার ঢঙে লিখছেন, ‘তৃণমূলের ভাঙিয়ে নেতা, নয়কো সহজ ভোটে জেতা, দিদির ছবি সরবে যবে, বন্ধু সেদিন খেলা হবে।’ প্রসঙ্গত, ধূপগুড়ি উপনির্বাচনে ৪৩০৯ ভোটে জয়ী হয়েছেন তৃণমূল প্রার্থী ডক্টর নির্মল চন্দ্র রায়। নির্বাচন কমিশনের তরফে পাওয়া ফলাফল বলছে, সিপিএমের প্রাপ্ত ভোট ১৩৫৭৮। বিজেপির প্রাপ্ত ভোট ৯৩৩০৪। তৃণমূলের প্রাপ্ত ভোট ৯৭৬১৩। অর্থাৎ আগে এই নির্বাচনী ক্ষেত্র বিজেপির দখলে থাকলেও এবারে পদ্ম শিবিরের কাছ থেকে ৪ হাজারের বেশি ভোটে ওই আসন ছিনিয়ে নিয়েছে বাংলার শাসক শিবির। সাগরদিঘি উপনির্বাচনে কংগ্রেসের কাছে পরাজয়ের পর ধূপগুড়ির উপনির্বাচনের ফল লোকসভা ভোটের আগে ঘাসফুল শিবিরকে নতুন করে অক্সিজেন দেবে বলেই মনে করছেন রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা।
প্রসঙ্গত, অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় এর মঞ্চে হাজির হয়েও ধূপগুড়ি নির্বাচনের শেষ লগ্নে বিজেপিতে যোগদান করেন মিতালি রায়। মিতালিই তৃণমূলের প্রাক্তন বিধায়ক। মিতালির যোগদান নিয়ে জোর চর্চা চলে রাজনৈতিক মহলে। ভোটের মুখে দলের প্রাক্তন বিধায়ক বিপক্ষে সামিল হওয়ায় অস্বস্তি বাড়ে শাসক শিবিরে । ভোটের আগে ধূপগুড়িতে তৃণমূলে ভাঙন, দেখুন কী অবস্থা! এই মর্মে শেষবেলায় জোর প্রচারও চালায় বিজেপি। কিন্তু, ফল প্রকাশের পর দেখা যায় মিতালি যে বুথে থাকেন সেই বুথেও হেরেছে বিজেপি।
বিতর্কের মধ্যে মিতালি রায় বলেন, “এর আগে যে কটা নির্বাচন হয়েছে তাতে বিজেপি কিন্তু অনেকটাই কম ভোট পেয়েছিল। সেখানে সেই তুলনায় এখন বিজেপির ১০টা হলেও ভোট বেড়েছে। কারণ, এখানে সর্বদাই সংখ্যালঘু ভোট একটা ফ্যাক্টর। সংখ্যালঘু ভোটটা ওদিকে গিয়েছে। কিন্তু, এটা বিজেপির জেতা আসন ছিল। সেই আসন ধরে রাখার জন্য আগামীতে আমি অবশ্যই চেষ্টা করব।”