
কড়া নিরাপত্তার ঘেরাটোপে আজ, শুক্রবার গণনা হবে অধূপগুড়ি উপনির্বাচনের। জলপাইগুড়ির উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের দ্বিতীয় ক্যাম্পাসে গণনা শুরু হচ্ছে সকাল ৮ টা থেকে। গণনা কেন্দ্রের ২০০ মিটারের মধ্যে জারি থাকবে ১৪৪ ধারা। এছাড়া থাকছে ত্রিস্তরিও নিরাপত্তা বলয়। ব্যবস্থা করা হয়েছে বলে জেলা প্রশাসন সুত্রে খবর।
সব রাউন্ডের গণনা শেষ। ৪,৮৮৩ ভোটে জয়ী তৃণমূল। সকাল থেকে পিছিয়ে থাকলেও বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে হাসি ফোটে ঘাসফুল শিবিরে। গেরুয়া শিবিরের সব হিসেব ঘুরিয়ে দিয়ে এগিয়ে যায় তৃণমূল। আপাতত টোটো-তে করে নিয়ে আসা হচ্ছে সবুজ আবীর। তৃণমূলের প্রার্থী ছিলেন নির্মলচন্দ্র রায়।
সপ্তম রাউন্ড গণনা শেষেও এগিয়ে শাসক দল। ২৯৩১ এগিয়ে রয়েছে তৃণমূল। তবে ব্যবধান কিছুটা কমেছে। তৃণমূলের প্রাপ্ত ভোট ৭২৪৪০ আর বিজেপির প্রাপ্ত ভোট ৬৯৫০৯।
প্রথম থেকে পিছিয়ে থাকলেও বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে আবারও এগিয়ে গেল তৃণমূল। ৬ রাউন্ড শেষে তৃণমূলের প্রাপ্ত ভোট ৬২৫৪৯, বিজেপির প্রাপ্ত ভোট ৫৮৮২৯। ৩৭৯১ ভোটে এগিয়ে তৃণমূল।
প্রথম ২ রাউন্ডের পর উল্লাস শুরু হয়ে গিয়েছিল বিজেপি শিবিরে। তবে ৪ রাউন্ড গণনার পর কিছুটা অক্সিজেন পাচ্ছে ঘাসফুল শিবির। চার রাউন্ড পর দেখা যাচ্ছে, ৩৬০ ভোটে এগিয়ে গিয়েছে তৃণমূল। তৃণমূলের প্রাপ্ত ভোট ৩৯,০৯৬ আর বিজেপি প্রাপ্ত ভোট ৩৮,৭৩৬। অর্থাৎ ধূপগুড়িতে যে হাড্ডাহাড্ডি লড়াই চলছে, তা বোঝাই যাচ্ছে।
১০১৮ ভোটে এগিয়ে গিয়েছে বিজেপি। ধূপগুড়ির বানারহাটে বিজেপির ফলাফল ভাল হয়েছে বলে জানা যাচ্ছে। এই এলাকার দায়িত্বে ছিলেন বিজেপি বিধায়ক মনোজ টিগ্গা। সূত্রের খবর, বিজেপি একসময় মনে করেছিল বানারহাটে ফলাফল খারাপ হতে পারে। মনোজ টিগ্গা ও বিধায়ক পুনা ভেংরাকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল। এটি মূলত চা বাগান এলাকা।
কার দখলে ধূপগুড়ি? তা এখন সময়ের অপেক্ষা। গণনার প্রাথমিক ট্রেন্ডে জয়ের গন্ধ পাচ্ছে বিজেপি। শেষ পাওয়া খবর অনুযায়ী, পোস্টাল ব্যালট গণনা চলছে। তাতে এগিয়ে রয়েছেন বিজেপি প্রার্থী তাপসী রায়। প্রথম রাউন্টে ১৭০০ ভোটে এগিয়ে রয়েছে বিজেপি।
বিস্তারিত পড়ুন: ধূপগুড়িতে প্রাথমিক ট্রেন্ডে জয়ের গন্ধ বিজেপি শিবিরে, ক্যাম্পের বাইরে ভাত-মাংসের এলাহি আয়োজন
মাংস ভাত রান্না শুরু হয়েছে। বিজেপি শিবিরে রীতিমতো উল্লাসের ছবি। বিজেপির আশা, ২১-এর বিধানসভা নির্বাচনে যা ভোট পেয়েছিল বিজেপি, এবার তার থেকেও বেশি ভোটে জয় আসবে বিজেপির। অন্যদিকে, তৃণমূল নেতা গৌতম দেব বলেন, “বানারহাট আমাদের দুর্বল জায়গা। সেখানে বিজেপি এগিয়ে আছে। পরের রাউন্ডে দেখা যাক, কী হয়।”
বিজেপি শিবিরে উল্লাস
শুরুতেই ধাক্কা তৃণমূলের। পোস্টাল ব্যালটের গণনার পর যে তথ্য সামনে এসেছে, তাতে দেখা যাচ্ছে, অনেকটাই পিছিয়ে আছে শাসক দল। গেরুয়া শিবিরের অবস্থা আপাতত অনেকটাই ভাল। পোস্টাল ব্যালটে তৃণমূল পেয়েছে ১০৭টি ভোট, বিজেপি ৪১৭টি ও সিপিএম-কংগ্রেস জোট ১২৮টি।
পোস্টাল ব্যালটের গণনা শুরু হওয়ার পর প্রথম পর্যায়ে এগিয়ে গেল তৃণমূল। উপ নির্বাচনের তৃণমূল প্রার্থী নির্মলচন্দ্র রায়। প্রার্থী বলেন, ‘মর্নিং শোস দ্য ডে। বিজেপির কোনও কৌশল কাজ করবে না।’ ২০১৬ সালে শেষবার তৃণমূল জিতেছিল এই কেন্দ্রে। পঞ্চায়েত নির্বাচনে অবশ্য এই এলাকায় এগিয়ে যায় তৃণমূল।
লোকসভা নির্বাচনের আগে এই উপ নির্বাচন বাংলার জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। বাংলার রাজনৈতিক মহল তাকিয়ে রয়েছে নির্বাচনের ফলাফলের দিকে। সব দলের শীর্ষনেতারা প্রচারে গিয়েছিলেন এই বিধানসভা কেন্দ্রে। বিজেপি কি আসন ধরে রাখতে পারবে? আজই মিলবে উত্তর।
শুক্রবার সকাল ৮ টা থেকে ইভিএম ছাড়াও পোস্টাল ব্যালট, ইলেকট্রনিক্যালিক ট্রান্সমিটেড পোস্টাল ব্যালটেরও গণনা হবে। দুটি ঘরে মোট ১৪টি টেবিলে প্রায় ১০০ জন গণনাকর্মী থাকবেন। মোট ভোটার সংখ্যা ২ লক্ষ ৬৯ হাজার ৪১৬ জন। মোট ১০ রাউন্ড গণনা হবে।
এই উপ নির্বাচনে মোট ২৬০ টি বুথে ভোট পড়েছে ৭৮.১৯ শতাংশ। ২০১৬ সালে এই কেন্দ্রে ভোট পড়েছিল ৮৮ শতাংশ, ২০২১-এর বিধানসভা নির্বাচনে ভোট পড়েছিলো ৮৭ শতাংশ। বিজেপি বিধায়ক বিষ্ণু পদ রায়ের আকস্মিক মৃত্যুর পর ফাঁকা ছিল এই আসন। সে কারণেই হয় এই উপ নির্বাচন।