Dhupguri: পাঁচ বছরের শিশুর শরীরে পরপর ঢোকাল ৯টি ইঞ্জেকশন, খানিক বাদেই মর্মান্তিক পরিণতি

Dhupguri: জানা গিয়েছে, বুধবার সকালেই জ্বর ও পেটের সমস্যা নিয়ে দীপায়নকে ধূপগুড়ি মহকুমা হাসপাতালে নিয়ে আসেন তার বাবা-মা চন্দন রায় ও সুজাতা রায়। অভিযোগ, হাসপাতালে এসে তাঁরা জানতে পারেন তখন কোনও শিশুরোগ বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক উপস্থিত নেই।

Dhupguri: পাঁচ বছরের শিশুর শরীরে পরপর ঢোকাল ৯টি ইঞ্জেকশন, খানিক বাদেই মর্মান্তিক পরিণতি
মৃত্যু পাঁচ বছরের শিশুরImage Credit source: Tv9 Bangla

| Edited By: অবন্তিকা প্রামাণিক

Jul 09, 2025 | 6:19 PM

ধূপগুড়ি: চিকিৎসায় গাফিলতির অভিযোগ। ধূপগুড়ি হাসপাতালে পাঁচ মাসের শিশুর মৃত্যুকে ঘিরে চাঞ্চল্য। বুধবার সকালে ঘটনাটি ঘটেছে জলপাইগুড়ির ধূপগুড়িতে। যার জেরে উত্তপ্ত হয়ে ওঠে গোটা হাসপাতাল চত্বর। মৃত শিশুটির নাম দীপায়ন রায়। সে ধূপগুড়ি মহকুমার গারখুটা এলাকার বাসিন্দা।

জানা গিয়েছে, বুধবার সকালেই জ্বর ও পেটের সমস্যা নিয়ে দীপায়নকে ধূপগুড়ি মহকুমা হাসপাতালে নিয়ে আসেন তার বাবা-মা চন্দন রায় ও সুজাতা রায়। অভিযোগ, হাসপাতালে এসে তাঁরা জানতে পারেন তখন কোনও শিশুরোগ বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক উপস্থিত নেই। প্রায় এক ঘণ্টা ধরে অপেক্ষা করেন তাঁরা। এরপর বেলা ১১টা নাগাদ এক শিশুরোগ বিশেষজ্ঞ শিশুটিকে পরীক্ষা করেন। সঙ্গে সঙ্গেই ভর্তি করার পরামর্শ দেন হাসপাতালে।

পরিবারের সদস্যদের দাবি, হাসপাতালে ভর্তি করার পর পরই দীপায়নকে একে একে ৯টি ইঞ্জেকশন দেওয়া হয়। সেই ইঞ্জেকশনগুলি নেওয়ার কিছুক্ষণের মধ্যেই শিশুটির অবস্থার অবনতি হতে থাকে। সে নিস্তেজ হয়ে পড়ে। এরপর হাসপাতালের তরফে দুপুর বারোটা নাগাদ শিশুটির মৃত্যুর কথা জানানো হয়।

শিশুর মৃত্যুর খবর পাওয়ার পরই কান্নায় ভেঙে পড়েন তার বাবা-মা ও পরিবারের সদস্যরা। মুহূর্তের মধ্যে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে ধূপগুড়ি মহকুমা হাসপাতাল চত্বরে। ভিড় জমে যায় হাসপাতালের বারান্দায়।

পরিবারের তরফে স্পষ্ট অভিযোগ ওঠে, চিকিৎসায় গাফিলতি, তাড়াহুড়ো করে একাধিক ইঞ্জেকশনের প্রয়োগ এবং সঠিক পর্যবেক্ষণের অভাবেই দীপায়নের মৃত্যু হয়েছে। এই ঘটনার পর দ্রুত এলাকায় পৌঁছয় ধূপগুড়ি থানার বিশাল পুলিশ বাহিনী। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে তৎপর হয় তাঁরা।

তবে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ যদিও এখনও কোনও আনুষ্ঠানিক বিবৃতি দেয়নি। অপরদিকে, হাসপাতালের অ্যাকাউন্ট ম্যানেজার সামনে এলেও তিনি সাংবাদিকদের প্রশ্নের কোনও উত্তর দিতে চাননি।

পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, শিশুটির দেহ ময়নাতদন্তে পাঠানো হয়েছে। রিপোর্ট এলেই মৃত্যুর প্রকৃত কারণ সম্পর্কে স্পষ্ট ধারণা পাওয়া যাবে।

স্থানীয় বাসিন্দারা ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, “ধূপগুড়ির মতো গুরুত্বপূর্ণ একটি হাসপাতালে দিনের শুরুতেই যদি শিশু চিকিৎসক না থাকেন, তাহলে জরুরি অবস্থায় রোগীরা কোথায় যাবেন?” মৃত শিশুর মা বলেন, “ওর জ্বর ছিল। পেট ফুলে ছিল। এখানে এসে অনেকক্ষণ বসেছিলাম। পরে ডাক্তার এল। তারপর ৯টা ইঞ্জেকশন দিল।”