
ধূপগুড়ি: প্রায় প্রতিদিনই কোথাও না কোথাও রাস্তার পাশে থাকা সরকারি জমি দখলের চিত্র সামনে আসছে। কখনও সেখানে গড়ে উঠছে দোকানপাট, কখনও বা স্থায়ী বসতবাড়ি। ঠিক তেমনই ধূপগুড়ি শহরের স্টেশন মোড় সংলগ্ন এলাকায়, সরকারি জমির উপর দীর্ঘ কয়েক বছর ধরে দোকান চালিয়ে আসছিলেন দুই ব্যবসায়ী বলে অভিযোগ।
সম্প্রতি, হাইকোর্টের তরফ থেকে ওই জমি খালি করার নির্দেশ পৌঁছয় ধূপগুড়ি থানায়। সোমবার ধূপগুড়ি থানার আইসি অনিন্দ্য ভট্টাচার্য পুলিশ আধিকারিকদের সঙ্গে নিয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছে দুই দোকান মালিককে ওই নির্দেশের কথা জানান। হাইকোর্টের রায় অনুযায়ী, পরের দিন অর্থাৎ মঙ্গলবারের মধ্যে ওই জায়গা খালি করতে হবে এমনটাই জানানো হয় তাঁদের।
এই নির্দেশ শুনে ক্ষোভে ফেটে পড়েন ব্যবসায়ীরা। পুলিশের সঙ্গে শুরু হয় তর্ক-বিতর্ক, চলে দীর্ঘক্ষণ। উষ্ণ বাক্য বিনিময়ের মধ্যেই প্রশ্ন তোলেন ব্যবসায়ীরা। দীর্ঘ বছর ধরে দোকান চালানোর পর হঠাৎ এই উচ্ছেদের সিদ্ধান্ত কেন? তাঁদের দাবি, যার ব্যক্তিগত জমির পাশেই রয়েছে এই সরকারি জায়গাটি, তিনিই নাকি পুলিশকে ব্যবহার করে এই জমি খালি করাতে চাইছেন। যাতে নিজে জমি ভরাট করে রাস্তা নির্মাণ করতে পারেন।
বস্তুত, ধূপগুড়ি থেকে জলপাইগুড়িগামী এশিয়ান হাইওয়ে ৪৮-এর ধারে পিডব্লিউডি-র জমিতে দোকান নির্মাণ করে চলছিল ব্যবসা। হাইকোর্টের নির্দেশ পেয়ে তৎপর হয় প্রশাসন। দোকানদারদের একদিন সময় দেওয়া হয়েছে। বলা হয়েছে, তারা যদি নিজেরা জমি খালি না করেন, তাহলে প্রশাসনের পক্ষ থেকে জোরপূর্বক উচ্ছেদ অভিযান চালানো হবে।
এই ঘটনায় আশঙ্কায় পড়েছেন আশপাশের আরও অনেক দোকান মালিক। তাঁদের প্রশ্ন, এবার কি তবে গোটা শহর জুড়ে সরকারি জমি দখল মুক্ত করতে বড়সড় অভিযান চালাবে প্রশাসন? যদিও পুলিশের পক্ষ থেকে এখনও পর্যন্ত এই বিষয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে কোনও মন্তব্য করা হয়নি, তবে স্থানীয় মহলে বিষয়টি নিয়ে তীব্র চর্চা শুরু হয়েছে। এ প্রসঙ্গে বিকাশ মাহাত বলেন, “পুলিশ এসে উঠে যেতে বলল। জানাল কোর্টে নোটিস দিয়েছে। কিন্তু আমি কোনও নোটিস পাইনি।”