
ধূপগুড়ি: কনকনে শীতের সকাল। সকাল থেকেই ধূপগুড়ি পৌরসভার ১ নম্বর ওয়ার্ড এবং সংলগ্ন মাগুরমারি গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকার বহু মানুষ শুনানির জন্য ভিড় জমিয়েছেন ধূপগুড়ি সুপার মার্কেটে অবস্থিত প্রস্তাবিত মহকুমা শাসকের দফতরে।শুনানিতে আসা অনেক বৃদ্ধ-বৃদ্ধা রয়েছেন অসুস্থ। সে খবর সংগ্রহ করতে গেলে বাধা দেওয়া হয় TV9 বাংলাকে মহকুমা শাসকের তরফে।
জানা গিয়েছে, যেসব নাগরিকের নাম ২০০২ সালের ভোটার তালিকায় ছিল না অথবা যাদের কাগজপত্রে কোনও ত্রুটি রয়েছে, তাঁদেরকেই নোটিস পাঠিয়ে হিয়ারিংয়ের জন্য ডাকা হয়েছে। শীতের কনকনে ঠান্ডা উপেক্ষা করেও সকাল থেকেই সেখানে হাজির হয়েছেন বহু মানুষ। ভিড়ের মধ্যে অসুস্থ ও বয়স্ক নারী-পুরুষদের উপস্থিতি চোখে পড়ার মতো।
এই পরিস্থিতির মধ্যেই খবর সংগ্রহ করতে সেখানে যান TV9 বাংলার প্রতিনিধি। অভিযোগ, সংবাদ সংগ্রহ করতে গেলে মহকুমা শাসক বেজায় ক্ষুব্ধ হয়ে ওঠেন। প্রথমে TV9 বাংলার প্রতিনিধিকে দপ্তরে ঢুকতে বাধা দেওয়া হয়, পরে যেখানে হিয়ারিং চলছিল সেই অফিস চত্বর থেকেই বের করে দেওয়া হয় বলে অভিযোগ।
সবচেয়ে তাৎপর্যপূর্ণ বিষয় হল, এই কড়াকড়ির পক্ষে নির্বাচন কমিশনের কোনও লিখিত নির্দেশিকা দেখাতে পারেননি মহকুমা শাসক। ফলে প্রশ্ন উঠছে ঠিক কোন নির্দেশে এবং কোন কারণে সংবাদমাধ্যমের উপর এতটা কড়া আচরণ করা হল?
নির্বাচনের সময়েও যেখানে সাধারণত নির্বাচন কমিশনের এমন কঠোরতা চোখে পড়ে না, সেখানে হঠাৎ করে মহকুমা শাসকের এই অতিসক্রিয়তা ও কড়াকড়ি ঘিরে একাধিক প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। প্রশাসনিক স্বচ্ছতা ও সংবাদমাধ্যমের স্বাধীনতা নিয়ে তৈরি হয়েছে বিতর্ক।