
ধূপগুড়ি: বিধবা ন’মাসের অন্তঃসত্ত্বা, বিপাকে স্বাস্থ্য দফতর। ঘটনায় তীব্র চাঞ্চল্য বানারহাটে। বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে সহবাসের অভিযোগ। তাতেই অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়েন ওই বিধবা মহিলা। বিষয়টি সামনে আসতেই কার্যত বিভ্রান্তির মুখে পড়ে স্বাস্থ্য দফতর। বানারহাট ব্লকের গয়ারকাটা হিন্দুপাড়া এলাকার ঘটনায় চাঞ্চল্য।
বানারহাটের এক চা বাগানের শ্রমিকের স্বামীর প্রায় চার বছর আগে মৃত্যু হয়। এরপর গয়েরকাটা এলাকার বাসিন্দা বলরাম শাহ নামে এক যুবকের সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে তাঁর। অভিযোগ, বিয়ের আশ্বাস দিয়ে ওই যুবক দীর্ঘদিন তাঁর বাড়িতে যাতায়াত করতেন, ঘনিষ্ঠ হতেন।
শনিবার রাতে আচমকাই প্রসব যন্ত্রণা ওঠে ওই মহিলার। ঠিক সেই সময় এলাকায় স্বাস্থ্য খোঁজখবর নিতে যান এক আশা কর্মী। তিনি গিয়ে দেখেন মহিলাটি প্রবল যন্ত্রণায় কাতরাচ্ছেন। তড়িঘড়ি তাঁকে ধূপগুড়ি মহাকুমা হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানকার চিকিৎসকরা তাঁর শারীরিক অবস্থা দেখে জলপাইগুড়ি জেলা হাসপাতালে স্থানান্তরিত করেন।
কর্তব্যরত চিকিৎসক দেবস্মিতা সরকার বলেন,“মহিলাটি ন’মাসের অন্তঃসত্ত্বা। প্রচণ্ড যন্ত্রণা নিয়ে এসেছিলেন। পরীক্ষা করে অবস্থা দেখে তাঁকে জেলা হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। যেহেতু তিনি বিধবা অথচ অন্তঃসত্ত্বা, তাই স্বাভাবিকভাবেই সন্তানের পিতৃপরিচয় জানতে পুলিশকে খবর দেওয়া হয়েছে।”
আশা কর্মী শিল্পী সাহা বলেন,“আমি তো জ্বর সংক্রান্ত খোঁজ নিতে গিয়েছিলাম। তখন দেখি মহিলা যন্ত্রণায় ছটফট করছেন। আমি তাঁকে হাসপাতালে নিয়ে আসি। এখন সমস্যায় পড়েছি কারণ তিনি বিধবা অথচ অন্তঃসত্ত্বা। ব্লক স্বাস্থ্য আধিকারিককেও বিষয়টি জানিয়েছি। আমাকেই তাঁকে জলপাইগুড়ি পর্যন্ত নিয়ে যেতে হচ্ছে।”
বর্তমানে অভিযুক্ত যুবক বলরাম সাহা গা-ঢাকা দিয়েছে বলে খবর। ঘটনার তদন্তে নেমেছে ধূপগুড়ি থানার পুলিশ। বিধবা মহিলা এবং তাঁর আসন্ন সন্তানের ভবিষ্যৎ কী হবে, তা নিয়ে এখন ধোঁয়াশায় স্বাস্থ্য দফতর।