‘উত্তরবঙ্গ বঞ্চিত, বোর্ডের বৈঠকে ডাক পান না রাজু বিস্তা’, রাজ্যকে তোপ দিলীপের
Dilip Ghosh: কয়েকদিন আগেই কামতাপুরী জঙ্গি সংগঠন কেএলও তৃণমূলের দুই নেতাকে উদ্দেশ্য করে হুমকি দেয়। সম্প্রতি কেএলও প্রধান জীবন সিংহের একটি ভিডিয়ো সামনে আসার অভিযোগ ওঠে। সেখানে, পৃথক কামতাপুর রাজ্যের দাবি জানায় তারা।
জলপাইগুড়ি: রাজ্য়-রাজনীতিতে কেবল ভুয়ো ভ্যাকসিনকাণ্ড নয়, চর্চার অন্যতম কেন্দ্রে উত্তরবঙ্গ। ঘন ঘনই উত্তরবঙ্গে পা পড়ছে বিজেপির হেভিওয়েট নেতাদের। তিনবিঘায় শহিদ দিবস পালন করতে এসে জলপাইগুড়ির একটি হোটেলে সাংবাদিক সম্মেলন করেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ (Dilip Ghosh)।
শনিবার, সাংবাদিক বৈঠকে বিজেপি নেতা বলেন, “উত্তরবঙ্গ বরাবরই বঞ্চিত। সেইজন্যেই এখানে বিচ্ছিন্নতাবাদী শক্তিরা মাথা চাড়া দিয়ে উঠেছে। শাসক দলের নেতাদের হুমকি পাওয়ার পিছনে আসলে শাসক শিবির নিজেই দায়ী। দীর্ঘদিন ধরে যদি কেউ বঞ্চিত হয়, তারা তো আওয়াজ তুলবেই।” উল্লেখ্য, কয়েকদিন আগেই কামতাপুরী জঙ্গি সংগঠন কেএলও তৃণমূলের দুই নেতাকে উদ্দেশ্য করে হুমকি দেয়। সম্প্রতি কেএলও প্রধান জীবন সিংহের একটি ভিডিয়ো সামনে আসার অভিযোগ ওঠে। সেখানে, পৃথক কামতাপুর রাজ্যের দাবি জানায় তারা। পাশাপাশি, উত্তরবঙ্গকে পৃথক রাজ্য ঘোষণা করার দাবি আগেই করেছেন বিজেপি সাংসদ জন বার্লা। যদিও, বিজেপির তরফে বারবারই দিলীপ ঘোষ (Dilip Ghosh) জানান, অখণ্ড বাংলাই চায় বঙ্গ বিজেপি।
অন্য়দিকে, উত্তরবঙ্গের অন্যতম জীবন-জীবিকা স্থল চা-বাগানগুলি। কিন্তু, ২০১৫ সাল থেকে বন্ধ হয়ে পড়ে রয়েছে জলপাইগুড়ি চা নিলাম কেন্দ্র। সম্প্রতি, জেলা তৃণমূল সভাপতি কৃষ্ণ কুমার কল্যানী অভিযোগ করে বলেন, “বিজেপি সাংসদ জয়ন্ত কুমার রায় চা নিলাম কেন্দ্র চালু করা নিয়ে উদ্যোগী হলেও তাতে বাধ সাধছেন দার্জিলিং-এর বিজেপি সাংসদ রাজু বিস্তা। কেন্দ্রীয় বাণিজ্য মন্ত্রকে রাজু বিস্তার (Raju Bista) প্রভাব আছে। তাই তিনি জলপাইগুড়ি চা নিলাম কেন্দ্র চালু হতে দিচ্ছেন না। এই চা নিলাম কেন্দ্র চালু হলে প্রচুর কর্ম সংস্থান হবে। চা নিলাম কেন্দ্র চালু না হলে তৃণমূল বৃহত্তর আন্দোলনের পথে নামবে।”
যদিও, তৃণমূলের এই অভিযোগ অস্বীকার করে দিলীপবাবু (Dilip Ghosh) এদিন বলেন, “টি বোর্ডে দালাল রাজ ছেয়ে গিয়েছে। সবেতেই শাসক দলের সিন্ডিকেটরাজ আর কাটমানি রাজ চলছে। বোর্ডের বৈঠকে রাজু বিস্তা ডাকা হয় না। কেন ডাকা হয় না, সেই প্রশ্নের কোনও সদুত্তর নেই।” প্রসঙ্গত, ২০০৫ সালে জলপাইগুড়ি চা নিলাম কেন্দ্র চালু হয়। সেসময় ম্যানুয়ালি নিলামের কাজ চলত। এরপর ২০১২ সালে এই নিলাম কেন্দ্রে ই-অকশন চালু হয়। কিন্তু, ২০১৫ সাল থেকে এই চা নিলাম কেন্দ্রে চা পাতার অভাবে চা অকশন বন্ধ হয়ে যায়।
আরও পড়ুন: ‘সিট গঠন করাটা আইওয়াশ, কেন কেঁচো খুড়তে সাপ বের করছেন!’, ফিরহাদকে তীব্র আক্রমণ শুভেন্দুর