ধূপগুড়ি: দু’দিন আগেই পূর্ব বর্ধমানের শক্তিগড়ে ল্যাংচা হাবে অভিযান চলেছিল। এবার খাদ্যের মান খতিয়ে দেখতে ধূপগুড়ির একাধিক বিরিয়ানির দোকানে হানা। ধূপগুড়ি শহরজুড়ে একাধিক বিরিয়ানির দোকানে হানা দিল খাদ্য নিরাপত্তা আধিকারিকরা। সঙ্গে ছিল ধূপগুড়ি থানার পুলিশও।
ধূপগুড়ি চৌপথি সংলগ্ন একাধিক বিরিয়ানির দোকানে মঙ্গলবার হানা দেয় একটি দল। শুধু বিরিয়ানির দোকানই নয়, একাধিক খাবারের হোটেলেও হানা দেয় তারা। খাদ্য নিরাপত্তা দফতরের আধিকারিক সোনাম দোলমা লামার নেতৃত্বে বিশেষ দল শহরে বিভিন্ন খাবারের দোকানে এদিন হানা দেয়।
১০০ টাকায় মটন বিরিয়ানি, সঙ্গে আবার ডিম। চিকেন বিরিয়ানি নিলে ৬০ টাকাতেই হয়ে যাচ্ছে। ৭০ টাকায় মিলছে চিকেন চাপ। দীর্ঘদিন ধরেই ধূপগুড়ি শহরে বিরিয়ানির দোকানের বিরিয়ানির গুণগত মান নিয়ে প্রশ্ন উঠছিল। বিভিন্ন জায়গা থেকে অভিযোগ আসছিল। এরপরই এদিন হানা দেয় জেলা খাদ্য দফতর। এদিন দোকানে ঢুকে খাবারের গুনগত মান থেকে শুরু করে রান্নার জায়গা, যথাযথ নথিপত্র সবকিছু খতিয়ে দেখেন আধিকারিকরা। খাবার টাটকা নাকি আগের দিনের খাবার তাও খতিয়ে দেখেন।
সম্প্রতি শক্তিগড়ে ল্যাংচা হাবে এভাবেই হানা দিয়েছিল সংশ্লিষ্ট জেলার খাদ্য দফতরের আধিকারিকরা। শক্তিগড়ের ল্যাংচার খ্যাতি সারা রাজ্যে। অথচ সেই ল্যাংচা দিনের পর দিন ভেজে রেখে দেওয়ায় ছাতা পড়ে যাওয়ার মতো ঘটনা সামনে আসে। কুইন্টাল কুইন্টাল ল্যাংচা মাটির নিচে পুঁতে দেওয়া হয়। একাধিক জেলাতেই খাদ্য দফতর অভিযান চালাচ্ছে। এই অভিযান চলবে বলেই সূত্রের খবর।