Dog Raped in Dhupguri: সরকারি বাংলোর পিছনে কুকুরকে ধর্ষণ, হাতেনাতে ধরা পড়তেই বললেন…

Dog Raped in Dhupguri: ধূপগুড়িতে চাঞ্চল্যকর ঘটনা। কুকুরকে ধর্ষণ করার ঘটনা প্রথম দেখতে পান স্থানীয় বাসিন্দারা। থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন পশুপ্রেমীরা।

Dog Raped in Dhupguri: সরকারি বাংলোর পিছনে কুকুরকে ধর্ষণ, হাতেনাতে ধরা পড়তেই বললেন...
অভিযুক্তকে হাতেনাতে ধরেছেন স্থানীয় বাসিন্দারা।
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Apr 09, 2022 | 8:03 PM

ধূপগুড়ি : কবিরাজ বলেছে রোগ সেরে যাবে। আর সেই পরামর্শ শুনে কুকুরকে ধর্ষণ করলেন এক ব্যক্তি। ধরা পড়তেই বললেন, মদ খেয়েছিলেন তাই কোনও খেয়াল ছিল না। স্থানীয় বাসিন্দারাই প্রথম দেখতে পান সেই ঘটনা। তাঁরাই হাতে নাতে ধরে ফেলেন ওই ব্যক্তিকে। পরে পুলিশের হাতে তুলে দেওয়া হয় শ্যামল দাম নামে ওই অভিযুক্তকে। জলপাইগুড়ি জেলার ধূপগুড়িতে সরকারি বাংলোর ঠিক পিছনে পরিত্যক্ত জঙ্গলে ওই ঘটনা ঘটে। খবর পেয়েই ঘটনাস্থলে যায় ধূপগুড়ি থানার পুলিশ। এই ঘটনায় পশুপ্রেমী সংস্থার তরফ থেকে ধূপগুড়ি থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হবে বলে জানা গিয়েছে। কিছুদিন আগে কেরলে এক ছাগলকে ধর্ষণ করার ঘটনা সামনে আসে। আর এবার বাংলায় ঘটল সেরকমই এক ন্যক্কারজনক ঘটনা।

ধূপগুড়ি শহরের একদম প্রাণকেন্দ্রে সরকারি ইন্সপেকশন ডাকবাংলো চত্বরে এই ঘটনাটি ঘটে। শনিবার বিকেল চারটে নাগাদ জলপাইগুড়ি জেলা পরিষদের ধূপগুড়ি ডাকবাংলোর পিছনের ঝোপের মধ্যে কুকুরকে ধর্ষণ করতে দেখেন সরকারি বাংলোর পিছনের দিকে বসবাসকারী এক বাসিন্দা।

অভিযোগ, এর আগেও সেই ব্যক্তিকে ঝোপঝাড়ের ভিতর কুকুরের সঙ্গে অসামাজিক কাজ করতে দেখেছেন তাঁরা। তবে হাতেনাতে ধরতে পারেননি। তবে আজ ধর্ষণ করতে দেখে তাঁরা ছুটে যান। রীতিমতো লাঠি নিয়ে এলাকার বাসিন্দারা অভিযুক্ত ব্যক্তিকে হাতে নাতে ধরে ফেলেন। সেইসঙ্গে খবর দেওয়া হয় ধূপগুড়ি থানার পুলিশকে। পুলিশ এসে ওই ব্যক্তিকে আটক করে থানায় নিয়ে যায়। অভিযুক্ত ব্যক্তির নাম শ্যামল দাম।

ধৃত ব্যক্তির দাবি তাঁর অসুখ রয়েছে এবং তাঁকে কবিরাজ নিদান দিয়েছেন কুকুরকে ধর্ষণ করার। কুকুরকে ধর্ষণ করলেই নাকি তাঁর রোগমুক্তি ঘটবে। ধরা পড়ার পর তিনি জানান, মদ খেয়েছিলেন তিনি, তাই মাথা ঠিক ছিল না। পরে আবার কবিরাজের দাওয়াইয়ের কথা উল্লেখ করেন। তিনি বলেন, ‘খারাপ কাজ করতেই চেয়েছিলাম। খারাপ কাজটা করলে রোগ সেরে যাবে বলেছিল কবিরাজ।’

এর আগেও ধূপগুড়ির সরকারি ডাকবাংলো নিয়ে একাধিকবার অভিযোগ উঠেছে। সরকারি বাংলোর ভিতরে অসামাজিক কার্যকলাপ দীর্ঘদিন ধরে চলে আসছে বলে অভিযোগ। সরকারি বাংলো হলেও সেখানে নেই কোনও নৈশ প্রহরী। সব সময় খোলা থাকে সেখানকার মূল গেট। যার ফলে অবাধে বহিরাগতরা সরকারি বাংলোর ভিতরে প্রবেশ করতে পারে এবং রাতে বিভিন্ন ধরনের অসামাজিক কার্যকলাপ চলে বলে অভিযোগ।

এর আগে এই বিষয় নিয়ে অভিযোগ হয়েছিল জেলা পরিষদ কর্তৃপক্ষের কাছে তবে তার পরেও টনক নড়েনি প্রশাসনের। স্বয়ং জেলা পরিষদের সদস্য মমতা সরকার বৈদ্য নিজেও অভিযোগ জানিয়েছেন সভাধিপতি এবং জেলাশাসককে। তারপরেও কড়া ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি এই সরকারি বাংলো নিয়ে। এমনটাই দাবি স্থানীয়দের।

আরও পড়ুন : Man Attacked Cop: হাত থেকে লাঠি কেড়ে নিয়ে পুলিশকে উদ্দাম মার যুবকের, কারণ জানলে অবাক হবেন, দেখুন ভিডিয়ো