Dooars: মুখ্যমন্ত্রীর হুঁশিয়ারিই সার, এখনও ডুয়ার্সে চলছে অবৈধ কাজ

Rony Chowdhury | Edited By: শর্মিষ্ঠা চক্রবর্তী

Nov 22, 2024 | 7:55 PM

Dooars: বানারহাট ব্লকের মধ্যে দিয়ে বয়ে গিয়েছে নোনাই, রাঙ্গাতি , আংড়াভাসা, কালুয়া নদী। ধূপগুড়ি ব্লকের মধ্যে দিয়ে গিয়েছে গিলান্ডি, ডুডুয়া, জলঢাকা নদী। কার্যত প্রায় সব নদী থেকেই বেআইনিভাবে উত্তোলন চলেছে বালি পাথর।

Dooars:  মুখ্যমন্ত্রীর হুঁশিয়ারিই সার, এখনও ডুয়ার্সে চলছে অবৈধ কাজ
চলছে অবৈধ কাজ
Image Credit source: TV9 Bangla

Follow Us

জলপাইগুড়ি: মুখ্যমন্ত্রীর হুঁশিয়ারির পরও বন্ধ হয়নি বেআইনিভাবে নদী থেকে বালি ও পাথর উত্তোলন এবং পাচার। এখনও ডুয়ার্সের নদী গুলি থেকে , দেদারভাবে চলছে বালি পাচার । বেআইনিভাবে পুলিশের নাকের ডগায় বালি ও পাথর উত্তোলন করে পাচার করা হচ্ছে বিভিন্ন জায়গায়।

বানারহাট ব্লকের মধ্যে দিয়ে বয়ে গিয়েছে নোনাই, রাঙ্গাতি , আংড়াভাসা, কালুয়া নদী। ধূপগুড়ি ব্লকের মধ্যে দিয়ে গিয়েছে গিলান্ডি, ডুডুয়া, জলঢাকা নদী। কার্যত প্রায় সব নদী থেকেই বেআইনিভাবে উত্তোলন চলেছে বালি পাথর। রাতে জেসিভি মেশিন ব্যবহার করে, কোথাও আবার  মেশিন ছাড়াই, হাতে তোলা হচ্ছে বালি পাথর ।

বাদ যাচ্ছে না সংরক্ষিত জঙ্গল লাগোয়া নদীও ।  জঙ্গলের ভিতর থেকে যে নদী বয়ে গিয়েছে, সেখান থেকেও চলছে অবাধে বালি-পাথর লুট। বাড়ছে বিপদের আশঙ্কা। বালি-পাথর পাচার রুখতে এর আগেও মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় একাধিক কড়া নির্দেশ দিয়েছেন। কিন্তু তাঁর নির্দেশে যে খুব একটা পরিস্থিতি বদলায়নি, তারই প্রমাণ পাওয়া যায় উত্তরের এই সব জায়গায় পা রাখলেই।  বিজেপি নেতা চন্দন দত্তের অভিযোগ, “শাসক দলের নেতাদের এবং পুলিশের একাংশের যোগসাজশেই এই বালি পাথর পাচার চলছে বুক চিতিয়ে।”

বৃহস্পতিবারের প্রশাসনিক বৈঠকে খোদ মুখ্যমন্ত্রী সরসারি নীচু তলার পুলিশকর্মীদের কাঠগড়ায় দাঁড় করান। ক্ষোভ উগরে দেন নীচু তলার পুলিশের ভূমিকা নিয়ে। পুলিশ আধিকারিকদের একাংশ টাকা খেয়ে বালি পাচার পাথর পাচারে মদত দিচ্ছে অভিযোগ তোলেন মুখ্যমন্ত্রী স্বয়ং।

স্থানীয় তৃণমূল নেতৃত্বও স্বীকার করছেন, বালি-পাথর পাচার হচ্ছে বটে। তবে এই ঘটনায় জড়িত বিজেপি। তৃণমূলের জেলা সেক্রেটারি অরূপ দে বলেন, “আমরা প্রতিদিনই দেখছি, বালি-পাথর লুঠ হচ্ছে। কিন্তু আমরা যাঁরা রাজনীতির সঙ্গে জড়িত, কোন বৈধ, অবৈধ তা বোঝা সম্ভব নয়। বিএলআরও দেখবেন বিষয়টা। মুখ্যমন্ত্রীর কাছে সঠিক তথ্য রয়েছে। এর মধ্যে বিজেপির লোকও জড়িত।”

কিন্তু এসবের মধ্যে সমস্যায় পড়ছেন বৈধ বালি খাদানগুলির মালিকরা। তেমনি মার খাচ্ছে কোটি কোটি টাকা সরকারি রাজস্বও।

Next Article