
মালবাজার: জন বার্লার বিজেপি ছেড়ে তৃণমূলে যোগদান! আর তারপরই জনের গড় বলে পরিচিত ডুয়ার্সের বানারাহাটে রাজ্য বিধানসভার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর পদযাত্রা। সোমবার তিরাঙ্গা পদযাত্রায় যোগ দিতে যাচ্ছেন শুভেন্দু। রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে, জন বার্লার তৃণমূলে যোগদান এলাকায় বিজেপি কর্মীদের মধ্যে প্রভাব ফেলতে পারে। এলাকার সাংগঠনিক ভিত মজবুত করতে, ভোট ব্যাঙ্ক ধরে রাখতেই শুভেন্দু অধিকারীর এই কর্মসূচি বলে মনে করা হচ্ছে।
এদিকে, আবার রাত পোহালেই উত্তরবঙ্গ সফরে যাচ্ছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। জলপাইগুড়ি জেলায় রয়েছে তাঁর প্রশাসনিক সভা। এরই মাঝে সেই দিনই জেলার আরেক প্রান্ত ডুয়ার্সের বানারহাটে তিরঙ্গযাত্রায় হাঁটবেন শুভেন্দু অধিকারী। দুই হেভিওয়েটের আগমন নিয়ে ইতিমধ্যে সাজো সাজো রব উত্তরবঙ্গে।
রাজনৈতিক মহলের ধারণা, ডুয়ার্সের চা বলয়ে একচেটিয়া আধিপত্য ছিল বিজেপির।এতদিন তৃণমূল সে ভাবে চা বলয়ে থাবা বসাতে পারেনি বলে মাত রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের । যার প্রমাণ মিলেছে একাধিক নির্বাচনের ফলাফলে। যদিও ২০২৪ এর উপনির্বাচনে মাদারিহাট বিধানসভায় তৃণমূল জয় লাভ করে। তৃণমূলের জয়ের ক্ষেত্রে জন বার্লার সঙ্গে দলের অন্তর্ঘাতকেই কারণ হিসাবে তুলে ধরেছেন অনেকে। তৃণমূলে যোগদানের পর বার্লার মুখেও উঠে এসেছে সে কথা।
জন বার্লা রাজনৈতিক জীবন শুরু হয়েছিল লক্ষ্মীপাড়া চা বাগান থেকে।পৃথক রাজ্য গোর্খাল্যান্ড আন্দোলনের সময় তাঁর উত্থানের শুরু। আন্দোলনের মাঝেই বিমল গুরুঙের সঙ্গে সখ্যতা তৈরি হয়, এরপরে বিজেপির টিকিট পেয়ে নির্বাচনে জিতে কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী হন জন। ডুয়ার্সের বানারহাট নাগরাকাটা এবং মাদারিহাট ব্লকের চা বাগানে তাঁর প্রভাব তৈরি হয়। এবার বিজেপি ছেড়ে তৃণমূলে যোগদান!
নাগরাকাটার বিজেপি বিধায়ক পুনে ভেঙরা বলেন, “জনগণ আমাদের সঙ্গে ছিল, আমাদের সঙ্গেই আছে। আমরা দলের উপরে ভরসা করি এবং আমাদের উপরে ভরসা আছে সাধারণ মানুষের। এটা আমাদের কোনও শক্তি প্রদর্শন না, তিরঙ্গা যাত্রা সারাদেশ জুড়ে হচ্ছে তেমনি বানারহাটেও করা হবে।”
এদিকে, তৃণমূলে যোগদানের সময়ে বেশ কিছু কাজ না করতে পারার অভিযোগে শুভেন্দু অধিকারীকে কাঠগড়ায় দাঁড় করিয়েছিলেন জন বার্লা। পাল্টা অবশ্য শুভেন্দুও আইনি নোটিস পাঠানোর হুঁশিয়ারি দিয়েছিলেন। এসবের মধ্যে বার্লার গড়ে শুভেন্দুর পদযাত্রা স্বাভাবিকভাবেই রাজনৈতিক মহলে চর্চা শুরু হয়েছে। যদিও শুভেন্দু পদযাত্রা নিয়ে বলেছেন, “আসবে আর যাবে… এই নিয়ে আর কী বলব।”