জলপাইগুড়ি: আরজি কর-কাণ্ডের প্রভাব পড়ল সরকারি অনুষ্ঠানেও। কার্যত ফাঁকা আসনে পরিবেশিত হলো রাজ্যের প্রথিতযশা শিল্পীদের দ্বারা আয়োজিত তথ্য ও সংস্কৃতি দফতরের ‘শ্রদ্ধাঞ্জলি’ অনুষ্ঠান।
১৭ অগস্ট এবং ১৮ই অগাস্ট জলপাইগুড়ি আর্ট গ্যালারিতে তথ্য সংস্কৃতি দফতরের পক্ষ থেকে আয়োজন করা হয় প্রয়াত বিশিষ্ট গায়ক গায়িকাদের স্মরণে ‘শ্রদ্ধাঞ্জলি’ অনুষ্ঠান। সঙ্গীত পরিবেশন করতে আসেন মন্ত্রী ইন্দ্রনীল সেন, অরুন্ধতী হোম চৌধুরী, শিবাজি চট্টোপাধ্যায়,রূপঙ্কর বাগচী সহ আরও অনেক বিশিষ্ট গায়ক গায়িকারা। কিন্তু দেখা যায় আসন কার্যত খালি। অত্যন্ত কম দর্শক নিয়ে অনুষ্ঠান করতে হয় তাঁদের।তিলোত্তমার নির্মম হত্যাকাণ্ডের পর রাজ্যে এখন বিষাদময় পরিস্থিতি। দেশ জুড়ে চিকিৎসক ধর্মঘট। সকলের মন ভারাক্রান্ত। এই পরিস্থিতিতে জলসা করা ঠিক নয়। তাই জলসা নয় বিচার চাই।
এই দাবিতে শনিবার সন্ধ্যায় আর্ট গ্যালারির সামনে শান্তিপূর্ণ প্রতিবাদ আন্দোলন হয়। তা করতে গিয়ে পুলিশের হাতে আটক হন আন্তর্জাতিক খ্যাতি সম্পন্ন নিউক্লিয়ার বিজ্ঞানী সহ শিল্পী,চিকিৎসক,শিক্ষক সহ মোট ৭ বিশিষ্ট জন। আটকের খবর চাউর হতেই কোতোয়ালি থানার ভিড় জমাতে থাকেন প্রতিবাদী সাংস্কৃতিক কর্মীরা। তাঁদের মুক্তির দাবিতে বাড়িতে ভিড়। পরে অবশ্য সকলকেই ছেড়ে দেওয়া হয়। এই ঘটনার পর বিক্ষোভ মিছিলে সামিল হন অনেকে। ঘটনার নিন্দা করেন অনেকেই।
প্রতিবাদী আন্দোলনকারী দেবরাজ বর্মণ বলেন, “আমরা বলতে গিয়েছিলাম এই মুহূর্তে রাজ্যের যে অবস্থা তাতে এই জাতীয় সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান কাম্য নয়। এতেই পুলিশ আটক করে।” কংগ্রেস নেতা অম্লান মুন্সি বলেন, “আরজি কর কান্ড নিয়ে এই মুহূর্তে গোটা দেশের মানুষ যা চাইছে এরাও সেটাই বলতে গিয়েছিল। কিন্তু পুলিশ এদের অন্যায় ভাবে গ্রেফতার করল।” সৌভিক কুন্ডা নামে এক আন্দোলনকারী বলেন, “আমরা শান্তিপূর্ণ প্রতিবাদ করছিলাম। পুলিশ আমাদের গ্রেফতার করে। এখন বলছে ছেড়ে দেওয়া হল। আমরা বুঝতে পারলাম না আমাদের কী অন্যায়।”
এই ঘটনায় জলপাইগুড়ি পুলিশ সুপার উমেশ খান্ডবাহালে জানিয়েছেন, সরকারি অনুষ্ঠানে বাধাদান করতে এসেছিল কিছু মানুষ। পুলিশ এদের আটক করে থানায় নিয়ে যায়। পরে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।