জলপাইগুড়ি: মানুষের নৃশংসতা থেকে মানুষ, পশু কারও ছাড় নেই। আরজি করের ডাক্তারি পড়ুয়ার নৃশংস পরিণতি হোক কিংবা ঝাড়গ্রামে বর্শা দিয়ে খুঁচিয়ে আগুনের গোলা ছুড়ে হাতিকে ‘খুন’ করার ঘটনা হোক। সমাজে অস্থিরতা, নৃশংসতা, অমানবিকতা ক্রমেই প্রকট হচ্ছে। তবে এরইমধ্যে মন ভাল করা ছবি দেখা গেল মেদলা হাতি পিলখানায়। বনদফতরের পোষ্য কুনকি হাতিকে রাখি পরিয়ে এই বিশেষ উৎসব পালন করলেন পরিবেশপ্রেমীরা। গরুমারা জাতীয় উদ্যানের মেদলা হাতি পিলখানায় রবিবার রাখির আগের দিন এমনই ছবি দেখা গিয়েছে।
আরও খবর পড়তে ডাউনলোড করুন Tv9 বাংলা অ্যাপ (Android/ iOs)
রাখির বন্ধন আসলে মানবতার বন্ধন। তাকেই আপ্তবাক্য করে দেশজুড়ে পালিত হয় এই দিনটি। গভীর জঙ্গলেও কিছু বাছাই করা পরিবেশপ্রেমীদের উপস্থিতিতে প্রতিবারের মতো এবারও হাতিকে রাখি পরিয়ে উদযাপন করা হল। নেওয়া হল তাদের সুরক্ষা প্রদানের শপথ।
যদিও এই অনুষ্ঠানের পাশাপাশি মানবতা সমৃদ্ধ পশ্চিমবঙ্গ বাসীর মনে উঁকি দিচ্ছে ঝাড়গ্রাম জেলার জঙ্গল এলাকায় বন দফতরের উপস্থিতিতে হুলা পার্টির ছোড়া আগুনের গোলায় ঝলসে মৃত গর্ভবতী হস্তির মৃত্যুর সেই করুন দৃশ্য।
রবিবার জলপাইগুড়ি জেলার গরুমারা জাতীয় উদ্যানের রামসাই বন বিভাগের মেদলা হাতি পিলখানায় থাকা বনবিভাগের কুনকি হাতিদের রাখ পরানো হয়। পরিবেশ কর্মী অনির্বাণ মজুমদার জানান, ঝাড়গ্রামে যেভাবে হাতিটিকে মেরে ফেলা হয়েছে তার তীব্র বিরোধিতা করে দোষীদের শাস্তির দাবি তোলেন তিনি। তিনি বলেন, সচেতনতা আরও বাড়ানো দরকার। এভাবে হাতির উপর হামলা কখনওই মানা যায় না। এই সচেতনতা বাড়াতেই গত সাত বছর ধরে এভাবে হাতিদের রাখি পরিয়ে হাতিদের রক্ষার শপথ নেওয়া হয়।