
ধূপগুড়ি: বন্য়ার জল ঢুকে পড়েছিল চাষের জমিতে। নষ্ট হয়েছিল ফসল। লাভ তো দূর কীভাবে চাষের খরচ ঘরে তুলবেন তা নিয়ে দিশেহারা ছিলেন কৃষকরা। শেষ পর্যন্ত ক্ষোভ-হতাশায় আগুনই ধরিয়ে দিলেন ধান জমিতে। ঘটনাকে কেন্দ্র করে ব্যাপক চাঞ্চল্য ধূপগুড়ি ব্লকের মাগুরমারী ২ নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েতের পশ্চিম মল্লিকপাড়ার কোকোয়াপাড়া এলাকায়। সারা বছরের পুঁজি দিয়ে কার্যত মাথার ঘাম পায়ে ফেলে চাষ করেছিলেন রঞ্জিত সরকার, আনন্দ সরকার-সহ এলাকার একাধিক কৃষক। কিন্তু একটানা বৃষ্টির আর তার ফসল হিসাবে বন্যার জলে তাঁদের বাড়ি-ঘরও যেমন ক্ষতির মুখে পড়েছে তেমনই চাষের জমিও জলের তলায় চলে গিয়েছে।
শুধু ধান নয়, বন্য়ার জলে অন্যান্য কৃষিজ পণ্যেরও ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। কৃষকদের অভিযোগ, তাঁদের এলাকা মূল ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা হওয়ার পরেও এখনও পর্যন্ত তাঁরা কোনও ক্ষতিপূরণ পাননি। তাতেই মাথায় হাত সকলের। কীভাবে চলবে সংসার তা ভেবে কূল-কিনারা পাচ্ছিলেন না কেউই। চরম হতাশায় শেষ পর্যন্ত এদিন প্রায় ৬০ থেকে ৭০ বিঘা জমিতে তাঁরা আগুন ধরিয়ে দিলেন। ধোঁয়ায় ঢাকল এলাকা। নিজেদের জমিতেই আগুন জ্বলতে দেখে কান্নাতেও ভেঙে পড়েন অনেকে।
কেউ কেউ বলছেন, পরিস্থিতি এমন ছিল যে ধান বোনার সময় পর্যাপ্ত জল পর্যন্ত পাওয়া যায়নি। বাধ্য হয়ে ঋণ করে সেচের ব্যবস্থা করেছিলেন। কিন্তু তখনও ভাবতে পারেনি ধান ঘরে তোলার সময় পাকা ধানে এইভাবে মই দিয়ে য়াবে বন্যার জল। কৃষকরা বলছেন এখন দেখা যাক এই অবস্থা দেখার পরে এবার প্রশাসন কী বলে।