
জলপাইগুড়ি: পরিবারের সবাই তখন বাড়িতে। নিত্যদিনের কাজকর্ম চলছে। হঠাৎ চোখের নিমেষে কী ঘটে গেল কেউ বুঝতেই পারলেন না, হুড়মুড় করে পড়ে গেল আলমারি-ড্রেসিং টেবিল। শুধু তাই নয়, বিছানায় ধরে গেল আগুন। ঘটনার কোনও ব্যাখ্যা খুঁজে পাচ্ছেন না পরিবারের সদস্যরা। আশঙ্কা উড়িয়েও দিতে পারছেন না। আতঙ্ক কাটাতে আসে নেমেছেন কাউন্সিলরও।
জলপাইগুড়ির ৮ নম্বর ওয়ার্ডের নিউ সার্কুলার রোড এলাকার ঘটনা। গভীর রাতে কারও কান্নার শব্দ শোনা গিয়েছে বলে দাবি বাসিন্দাদের। আর এরপরই নাকি ঘরের ভিতর আপনা আপনি আসবাবপত্র পড়ে গিয়েছে। অদৃশ্য শক্তির তাণ্ডবে কার্যত আতঙ্কিত সেখানকার বাসিন্দারা।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, নিউ সার্কুলার রোডের বাসিন্দা স্বপন দে-র বাড়িতে ঘটেছে এই ঘটনা। সব শুনে আতঙ্কিত প্রতিবেশীরা। স্বপনের দাবি, রবিবার রাত আনুমানিক ১১টা থেকে ১২টার মধ্যে হঠাৎ করেই কান্নার শব্দ শোনা যায়। সেই সময় তাঁর মা ঘরে বসে হরিনাম জপ করছিলেন। আচমকাই কোনও কারণ ছাড়াই মেঝেতে পড়ে যায় ড্রেসিং টেবিল, আলমারি-সহ ঘরের একাধিক আসবাবপত্র।
স্বপন বলছেন, এখানেই শেষ নয় গ্যাস ওভেন নিয়ে শুরু হয় টানাহেঁচড়া, যেন অদৃশ্য কেউ সেটিকে ছুড়ে ফেলছে। কিছুক্ষণের মধ্যেই ঘরে ছড়িয়ে পড়ে পোড়া গন্ধ। দেখা যায়, শীতের কম্বল ও বিছানার চাদরে আগুন লেগেছে। কিন্তু আশ্চর্যের বিষয়, ঘটনার সঙ্গে জড়িত কাউকেই চোখে দেখা যায়নি।
পরিবারের আরও অভিযোগ, কখনও কখনও বাড়ির ভিতর থেকে বা বাইরে থেকে মানুষের গায়ে ঢিল ছোড়া হচ্ছে। কিন্তু চারপাশে কাউকেই দেখা যাচ্ছে না। দিনের বেলাতেও অস্বাভাবিক শব্দ শোনা যাচ্ছে বলে দাবি অনেকের। এই ঘটনার পর থেকেই নিউ সার্কুলার রোড এলাকায় আতঙ্কের পরিবেশ। তবে রহস্যের যবনিকা টানতে সায়েন্স অ্যান্ড নেচার ক্লাবের দ্বারস্থ হয়েছেন স্থানীয় কাউন্সিলর উত্তম বোস। তাঁর দাবি, এই রহস্যের উদঘাটন করবেন তিনি, কারণ তিনি কোনও অলৌকিক শক্তিতে বিশ্বাস করেন না। কাউন্সিলর বলেন, “আমি এরকম কোনও কুসংস্কারে বিশ্বাস করি না। আতঙ্কটা ঠিক নয়। বিজ্ঞানের যুগে এসবে বিশ্বাস করা যায় না। দরকার হলে আমি রাতে থাকব। দেখব কে ভূত।”