Jalpaiguri: ‘বাড়িতে তখন বউ-বাচ্চা একা’, সন্ধ্যার আকাশে রহস্যময় আলো, বিকট শব্দ! যা ঘটল, বাংলায় এই ঘটনা প্রথম, উদ্বিগ্ন প্রশাসন, শুরু মাইকিং
Jalpaiguri: ‘চিকেন্স নেক’ হিসাবে পরিচিত সংবেদনশীল জলপাইগুড়ি জেলায় বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় এমনই এক রহস্যময় ঘটনাকে ঘিরে ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে। জেলার বিভিন্ন প্রান্তে আকাশে আলো দেখা যাওয়ার পাশাপাশি কেউ কেউ বিকট আওয়াজ শোনার দাবি করেন। শব্দ শুনে অনেকেই ঘর ছেড়ে বাইরে বেরিয়ে আসেন।

রনি চৌধুরী: সন্ধ্যার আকাশে রহস্যময় আলো, বিকট শব্দ! আকাশে হঠাৎ এ কী দেখা যাচ্ছে। শীতের মধ্যেই ঘর থেকে বেরিয়ে আসেন সকলে। সে যেন কান ফাটানো শব্দ। কেউ বুঝতেই পারছিলেন কীসের এই আওয়াজ-আলো। ছুটোছুটি পড়ে যায়। অনেকে ভয়ে ঘরে ঢুকে যান, অনেকে আবার দোকানের শার্টার ফেলেন। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় হঠাৎই অদ্ভুত ঘটনায় আতঙ্ক ছড়ায় ডুয়ার্স জুড়ে।
‘চিকেন্স নেক’ হিসাবে পরিচিত সংবেদনশীল জলপাইগুড়ি জেলায় বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় এমনই এক রহস্যময় ঘটনাকে ঘিরে ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে। জেলার বিভিন্ন প্রান্তে আকাশে আলো দেখা যাওয়ার পাশাপাশি কেউ কেউ বিকট আওয়াজ শোনার দাবি করেন। শব্দ শুনে অনেকেই ঘর ছেড়ে বাইরে বেরিয়ে আসেন। কিন্তু পরিস্থিতি দেখে আবার ভয়ে অনেকে ঘরেও ঢুকে যান। মুহূর্তের মধ্যেই সেই ঘটনার ভিডিয়ো ও ছবি ছড়িয়ে পড়ে সামাজিক মাধ্যমে।
এলাকারই এক বাসিন্দা প্রসেনজিৎ বললেন, “আমি বাইরে ছিলাম। বাড়িতে বউ বাচ্চা ছিল। হঠাৎ বাড়ি থেকে ফোন আসে, বলছে বিকট শব্দ হচ্ছে আকাশে। আমিও শুনেছি। আমিও ঠিক বলতে পারলাম না। মনে হল যেন ভূমিকম্প হল। কান ফাটা আওয়াজ। ভয় তো আমরা সকলেই পেয়েছি। এরকম তো আগে কখনও হয়নি।”
ঘটনাকে ঘিরে যাতে কোনও রকম গুজব বা আতঙ্ক ছড়াতে না পারে, সে কারণে তৎপরতা বাড়িয়েছে জেলা প্রশাসন ও পুলিশ। পরিস্থিতির ওপর কড়া নজর রাখা হচ্ছে। এ বিষয়ে জলপাইগুড়ি জেলা পুলিশ সুপার জানান, “আমরা আমাদের সমস্ত পুলিশ কর্মীকে সক্রিয় করেছি এবং সাধারণ মানুষকেও অনুরোধ করা হয়েছে, কেউ যদি নির্দিষ্ট কোনও স্থানের তথ্য পান, তাহলে জানাতে। এখন পর্যন্ত ঘটনার নির্দিষ্ট কোনও অবস্থান সম্পর্কে নিশ্চিত তথ্য পাওয়া যায়নি। বিষয়টি নিশ্চিত হলেই আমরা তা জানাব।” তবে পুলিশ কর্তা জানিয়েছেন, এখনও পর্যন্ত কোথাও কোনও ক্ষয়ক্ষতির খবর নেই। তবে প্রাথমিকভাবে এটি উল্কাবৃষ্টির মতোই মনে করছে প্রশাসন।
পুলিশ ও প্রশাসনের পক্ষ থেকে স্পষ্ট করে জানানো হয়েছে, এখনই আতঙ্কিত হওয়ার কোনও কারণ নেই। ঘটনার প্রকৃত কারণ জানতে তদন্ত ও পর্যবেক্ষণ চলছে। প্রশাসনের তরফে নিশ্চিত তথ্য না আসা পর্যন্ত গুজবে কান না দেওয়ারও আবেদন জানানো হয়েছে।
