Jalpaiguri: দেহাংশ লুঠ করলে মামলা করা হবে, সতর্ক করল বন দফতর
Jalpaiguri: জলপাইগুড়ির ময়নাগুড়ি ব্লকে জলঢাকা নদীর জলে ভাসিয়ে নিয়ে গিয়েছে গরুমারা জাতীয় উদ্যানের রামশাই বিট সহ বেশ কিছু বনভূমি। একইসঙ্গে বনবস্তি কিংবা জঙ্গল লাগোয়া এলাকায় প্রচুর মানুষ বন্যার কবলে পড়েছেন। তাদের ঘরে এখনও বিষাক্ত সাপ ঢুকে পড়েছে। ভয়ে এখনও কেউ কেউ ঘরে ঢুকতে পারেনি।

জলপাইগুড়ি: গরুমারা জাতীয় উদ্যানে হাই অ্যালার্ট। বন্যপ্রাণী বা তার দেহাংশ লুঠ করলে মামলা করা হবে। চোরা শিকার ঠেকাতে এবার জঙ্গল লাগোয়া এলাকায় মাইকিং করে সতর্ক করা শুরু করল বন দফতর।
বন্যায় ভেসে গিয়েছে গরুমারা জাতীয় উদ্যান। শুধু গরুমারা জাতীয় উদ্যান নয়, জেলার বিভিন্ন বনাঞ্চল বানভাসি হয়েছে। জঙ্গল লাগোয়া বিভিন্ন এলাকা থেকে প্রতিদিন জীবিত বা মৃত অবস্থায় একের পর এক বন্যপ্রাণীকে উদ্ধার করছে বন দফতর। এই কাজে বন দফতরের পাশে দাঁড়িয়ে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিয়েছে বিভিন্ন পরিবেশপ্রেমী সংগঠন।
জলপাইগুড়ির ময়নাগুড়ি ব্লকে জলঢাকা নদীর জলে ভাসিয়ে নিয়ে গিয়েছে গরুমারা জাতীয় উদ্যানের রামশাই বিট সহ বেশ কিছু বনভূমি। একইসঙ্গে বনবস্তি কিংবা জঙ্গল লাগোয়া এলাকায় প্রচুর মানুষ বন্যার কবলে পড়েছেন। তাদের ঘরে এখনও বিষাক্ত সাপ ঢুকে পড়েছে। ভয়ে এখনও কেউ কেউ ঘরে ঢুকতে পারেনি। সেই সমস্ত এলাকায় গিয়ে ঘরে ঢুকে একের পর এক সাপ উদ্ধার করছেন পরিবেশকর্মী ও বনকর্মীরা।
বন দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে কেবলমাত্র গরুমারা জাতীয় উদ্যান সংলগ্ন এলাকা থেকে এখনও পর্যন্ত গন্ডার, বাইসন, বন্য শুকর, হরিন ইত্যাদি মিলিয়ে ৩০ টি বন্যপ্রাণীর দেহ উদ্ধার করা হয়েছে। এছাড়া বিভিন্ন প্রজাতির অজস্র সাপ, কচ্ছপ সহ বিভিন্ন জাতের বন্যপ্রাণীকে জীবিত অবস্থায় উদ্ধার করা হয়েছে।
দুর্যোগের পরই মাগুরমারীর ডাকুয়াপাড়া এলাকায় ধরা পড়ে একটি ছবি। দেখা যায় ভুটান ও সিকিম পাহাড় আসা প্রবল জলে জলঢাকা নদী ফুলে-ফেঁপে ওঠে। সেই জলেই ভেসে যাচ্ছিল একটি হরিণ। প্রাণপণ চেষ্টা করে এলাকারই কয়েকজন যুবক সাঁতরে পৌঁছে হরিণটিকে টেনে নিয়ে যায় নদীর ধারে শুকনো জমিতে।
খবর পেয়ে মরাঘাট রেঞ্জের বনকর্মীরা দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছন। তখন গ্রামবাসীরা আহত হরিণটিকে তুলে দেন বনকর্মীদের হাতে এবং প্রাথমিক চিকিৎসার পর তাকে ছেড়ে দেওয়া হয়।
