Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

Farming: ১০:২৬:২৬ সারের ওপর জল দিয়েই যা ঘটছে… দৃশ্য দেখে মাথায় হাত ধানচাষিদের, এবছর ধান ফলবে কী করে!

Farming: কৃষিক্ষেত্র বা চা বাগান, যে কোনও চাষবাসের জন্য এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ উপাদানযুক্ত সার। এর মধ্যে থাকে ১০ শতাংশ নাইট্রোজেন, ২৬ শতাংশ ফসফরাস, ২৬ শতাংশ পটাশিয়াম।

Farming: ১০:২৬:২৬ সারের ওপর জল দিয়েই যা ঘটছে... দৃশ্য দেখে মাথায় হাত ধানচাষিদের, এবছর ধান ফলবে কী করে!
Image Credit source: TV9 Bangla
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Mar 22, 2025 | 10:10 AM

রাজগঞ্জ: সারের পর সার দেওয়া হচ্ছে, এক ইঞ্চিও বাড়ছে না ধানের রোয়া! মাথায় হাত পড়েছে বোরো চাষিদের। চাঞ্চল্যকর অভিযোগ উঠেছে জলপাইগুড়িতে। জলপাইগুড়ির রাজগঞ্জ ব্লকের শিকারপুর গ্রামপঞ্চায়েতের কৃষকেরা প্রতিবারের মতো এবারও নির্দিষ্ট সময়ে জমিতে হাল দিয়ে বোরো ধানের রোয়া বপন করেছেন। নিয়ম মেনে সারও দিয়েছেন। কিন্তু ধান বাড়ছে কই!

জলসেচ করার পর তাঁরা রাসায়নিক সার (১০:২৬:২৬) ধান জমিতে ছিটিয়ে দেন। আর তারপর যা হল, সেই দৃশ্য দেখে কার্যত মাথায় হাত চাষিদের। কৃষকরা জানাচ্ছেন রাসায়নিক সার জলে মিশে না গিয়ে ভেসে উঠছে! হাওয়া দিলেই জলে ভেসে থাকা সারগুলি জমির এক জায়গায় গিয়ে জড় হয়ে যাচ্ছে। একের পর এক কৃষকের জমিতে একই অবস্থা। উপায় না দেখে তাঁরা রাজগঞ্জ কৃষি আধিকারিকের কাছে লিখিত অভিযোগ জানিয়েছেন।

১০:২৬:২৬ সার আসলে কী?

কৃষিক্ষেত্র বা চা বাগান, যে কোনও চাষবাসের জন্য এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ উপাদানযুক্ত সার। এর মধ্যে থাকে ১০ শতাংশ নাইট্রোজেন, ২৬ শতাংশ ফসফরাস, ২৬ শতাংশ পটাশিয়াম।

দীপ্তি দাস, বাবলু রায়, জীবেশ দাস, যুগল দাসের মতো কৃষকের অভিযোগ, দীর্ঘদিন ধরে তাঁরা চাষবাসের সঙ্গে যুক্ত। প্রত্যেক বছরই ১০:২৬:২৬ সার দিয়েই চাষ করেন, কিন্তু কোনও বার এভাবে সার জলে ভেসে ওঠে না। ভুয়ো রাসায়নিক সার বিক্রি হচ্ছে বলে দাবি তাঁদের। ক্ষতিপূরণের দাবিও জানাচ্ছেন তাঁরা।

বিজেপি কিষাণ মোর্চার জেলা সভাপতি নকুল দাস জানান, তিনি নিজে একজন চাষি। তিনিও এভাবেই সার দিয়ে বিপাকে পড়েছেন। তিনি বলেন, “আমরা দীর্ঘদিন ধরে অভিযোগ করে আসছি যে তৃণমূল নেতারা সারের সিন্ডিকেট চালাচ্ছে। কালোবাজারির পাশাপাশি নিম্নমানের সার বিক্রি করছে তারা। আমরা এই সার জলে দিয়ে দেখতে পাচ্ছি ভেসে উঠেছে। আর যারা চা বাগানে দিয়েছে তারা তো এখন বুঝতেই পারবে না। একমাস পর যখন দেখবে চা পাতা কম আসছে তখন বুঝতে পারবে। এবার আমাদের গ্রামের সমস্ত ফসল মার খাবে।”

কৃষি আধিকারিক গোপাল চন্দ্র সাহা জানিয়েছেন, অভিযোগ পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে। নির্দিষ্ট ব্যাচ নম্বরের সার বিক্রি আপাতত বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে দোকানে। নমুনা ল্যাবে পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে। ১৫ দিনের মধ্যে রিপোর্ট আসবে বলে জানিয়েছেন তিনি। তাঁর দাবি, যদি নমুনায় ভ্যাজাল পাওয়া যায়, তাহলে নির্দিষ্ট আইন অনুয়ায়ী ক্ষতিপূরণ দেওয়া হবে ও ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

স্থানীয় পঞ্চায়েত সদস্য তথা তৃণমূলের অঞ্চল সভাপতি নারায়ণ চন্দ্র বসাক বলেন, “বিজেপি সমস্ত কিছুর মধ্য মমতার ছায়া দেখতে পায়। এই সার তো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বানাননি। তাই ফালতু ইস্যু বানিয়ে লাভ নেই।”