ধূপগুড়ি : ফেসবুকে প্রেম। বাড়ির অমতেই বিয়েও হয়েছিল। কিন্তু ৬ মাস পরই উধাও স্বামী। তাঁকে খুঁতে কলকাতা থেকে ধূপগুড়ি ছুটলেন তরুণী। নিখোঁজ স্বামীর ছবি নিয়ে কার্যত দরজায় দরজায় ঘুরে বেড়াচ্ছেন তরুণী। পুলিশের সঙ্গে যোগাযোগ করেও কোনও লাভ হয়নি। এই থানা থেকে ওই থানা ছুটে বেড়াচ্ছেন তিনি। গত ১১ ফেব্রুয়ারি থেকে নিখোঁজ তাঁর স্বামী সুভাষ চন্দ্র দাস। পিঙ্কি সাহা নামে ওই তরুণীর দাবি, তাঁর স্বামী কোনও কাজ করতেন না। পিঙ্কির পরিবারের তরফ থেকে তাই তাঁকে চাপ দেওয়া হচ্ছিল। আর সেই কারণেই সম্ভবত বাড়ি ছেড়েছেন তিনি। তবে পিঙ্কির আত্মীয়দের দাবি, এটা প্রতারণার ঘটনা। সুভাষ নামে ওই ব্যক্তি পিঙ্কিকে প্রতারণা করেই ছেড়ে চলে গিয়েছেন।
লকডাউনে পিঙ্কির সঙ্গে ফেসবুকে পরিচয় হয় সুভাষের। সামনা সামনি দেখা না হলেও টানা একবছর অনলাইনে চুটিয়ে প্রেম করেছেন তাঁরা৷ এরপর গত বছর অগস্টে দুজনের দেখা হয়। আর দেরি না করে সে দিনই কালীঘাটে গিয়ে মালা বদল করেন তাঁরা। সুখী দম্পতি হিসেবে কলকাতার পার্কসার্কাসে সংসারও শুরু করেন। বাড়ির মত না থাকলেও তাঁরা চুটিয়ে সংসার করছিলেন। কিন্তু একবছরের প্রেমের পর বিয়ে টিকল না ছ মাস!
চলতি মাসের ১১ তারিখ থেকে হঠাৎ নিখোঁজ পিঙ্কির স্বামী। স্বামীর খোঁজে কলকাতার তপসিয়া থানার দ্বারস্থ হন পিঙ্কি সাহা। পুলিশ সূত্রে খবর ধূপগুড়ি থেকে গয়েরকাটার মাঝে দেখিয়েছে সুভাষের মোবাইলের শেষ অবস্থান। সেই সূত্রেই এক সপ্তাহ ধরে ধূপগুড়িতে স্বামীকে খুঁজে চলেছে তরুণী। তরুণীর বাড়ি কলকাতার বিধাননগরে। তিনি জানিয়েছেন, ফেসবুকে পরিচয়ের পর একটি অনলাইন গানের অ্যাপের মাধ্যমে প্রেম গড়ায় আরও কয়েক ধাপ। এরপরেই বিয়ে হয়, আর তারপর এই ঘটনা।
এ দিকে প্রতারিত তরুণী ও তাঁর দাদা ধূপগুড়ি শহর জুড়ে স্বামীর সন্ধান চাই পোস্টার শহরের বিভিন্ন জায়গায় লাগিয়েছেন। তরুণী বলেন, ‘এক বার সামনা সামনি দাঁড়াতে চাইছি। নিজেকে প্রতারিত ভাবব, নাকি বোকা ভাবব সেটাই বুঝতে পারছি না। তবে সব কিছুর পরে ওকেই ফিরিয়ে নিয়ে যেতে চাই।’