
জলপাইগুড়ি: মুখ্যমন্ত্রীর কড়া বার্তা দেওয়ার পরেও রাজ্যে থামছে না বেআইনি বালি পাচার। এবার সেই পাচারের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করায় আক্রান্ত হতে হল ১২ জন গ্রামবাসীকে। ঘটনাটি ঘটেছে ধূপগুড়ি মহকুমার বানারহাট থানার রাঙাতি নদীর চরে। আক্রান্তদের মধ্যে রয়েছেন মহিলা-পুরুষ উভয়েই। আহতদের বানারহাট হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, শুক্রবার সন্ধ্যায় নদী থেকে বেআইনিভাবে বালি জায়গায় একটি ছাগল গেলে সেটাকে নিয়ে গ্রামবাসীদের সঙ্গে শুরু হয় গন্ডগোলের। এর পরেই তুলতে গেলে, স্থানীয় বাসিন্দারা বাধা দেন। অভিযোগ, তখনই বালি পাচারকারীরা লাঠি ও ধারালো অস্ত্র নিয়ে চড়াও হয়। কারও মাথা ফাটে, তো কারোর হাত-পা কেটে যায়। এই ঘটনায় ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়ায় গোটা রাঙাতি এলাকায়।
এলাকাবাসীর অভিযোগ, বহুবার বিডিও থেকে শুরু করে থানায় লিখিত অভিযোগ জানানো হয়েছে বালি পাচারের বিরুদ্ধে, কিন্তু প্রশাসনের পক্ষ থেকে নেওয়া হয়নি কোনও পদক্ষেপ।
প্রশ্ন উঠছে, মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশ কি তবে নীচুতলা পর্যন্ত পৌঁছচ্ছে না? এই ঘটনার পর বানারহাট থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। তবে এখনও পর্যন্ত কাউকে গ্রেফতার করা হয়েছে কিনা, তা নিয়ে প্রশাসনের পক্ষ থেকে কিছু জানানো হয়নি।
স্থানীয় বাসিন্দাদের দের দাবি, প্রশাসন দ্রুত ব্যবস্থা না নিলে রাঙাতি নদী বালি মাফিয়াদের হাতে পুরোপুরি চলে যাবে। প্রশাসনের দৃষ্টি আকর্ষণের জন্য বড় আন্দোলনে নামার হুঁশিয়ারি দিয়েছেন তাঁরা।