Jalpaiguri: পড়ে মায়ের স্থবির শরীর, তার স্তনই পান করছে সন্তান! টর্নেডো বিধ্বস্ত জলপাইগুড়ির ছবি মোচড় দিচ্ছে বুকে
Jalpaiguri: কয়েক মিনিটের একটা ঝড়! একটা কুণ্ডলীকৃত কালো ধোঁয়ার মতো। নিমেশে শেষ করে দিয়েছে ময়নাগুড়ির বার্নিশ এলাকার বিস্তীর্ণ অংশ। ধূলিসাৎ হয়ে গিয়েছে বাড়ির পর বাড়ি। মৃত্যু হয়েছে একাধিকজনের। ধ্বংসস্তূপের নীচে চাপা পড়ে মৃত্যু হয়েছে বহু গবাদি পশুরও।

জলপাইগুড়ি: মায়ের শরীরটা পড়ে রয়েছে। তাতে প্রাণ নেই। চোখ দুটো খোলা, পলক পড়ছে না তাতে, স্থবির দৃষ্টি! কয়েক মাসের বাচ্চাটার পক্ষে কি তা আর বোঝা সম্ভব? নাহ, একেবারেই না। তার খিদে পেয়েছে। এখনও বাইরের খাবার খাওয়া শেখেনি সে। তার আগেই মা ছেড়ে চলে গিয়েছে অন্তহীনের পথে। তাই খিদের জ্বালায় মায়ের বুকেই মুখ গুঁজেছে খুদেটি। মৃত মায়ের বুকের দুধ খেয়েই খিদের জ্বালা মেটাচ্ছে সে! মৃত ছাগলের স্তন পান করছে ছাগ শিশু। ‘টর্নেডো’ বিধ্বস্ত ময়নাগুড়ির মর্মান্তিক দৃশ্য নাড়িয়ে দিয়েছে গোটা মানব সমাজকে।
কয়েক মিনিটের একটা ঝড়! একটা কুণ্ডলীকৃত কালো ধোঁয়ার মতো। নিমেশে শেষ করে দিয়েছে ময়নাগুড়ির বার্নিশ এলাকার বিস্তীর্ণ অংশ। ধূলিসাৎ হয়ে গিয়েছে বাড়ির পর বাড়ি। মৃত্যু হয়েছে একাধিকজনের। ধ্বংসস্তূপের নীচে চাপা পড়ে মৃত্যু হয়েছে বহু গবাদি পশুরও। এখন ওই এলাকায় পা বাড়ালে বিঁধছে ভাঙা টিনের চাল, প্লাস্টিক-ধ্বংসস্তূপের অংশ। তারই মধ্যেই ক্যামেরার ফোকাসে একটা মর্মান্তিক ছবি।
ভাঙা টিনের চালের নীচে চাপা পড়ে রয়েছে একটি ছাগলের শরীর। প্রাণ নেই তাতে। আর তার দুধ পান করছে সন্তান। মায়ের মৃত্যু টের পায়নি ছাগ শিশু। খিদে মেটাতে তাই মায়ের স্তনই পান করছে সে।
গত সোমবার এই করুণ ছবি ধরা পড়ে ময়নাগুড়ি বার্নিশ এলাকায়। আর এখন সামাজিক মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে সেই মর্মান্তিক ছবি। গ্রামবাসী বিশু রায় বলেন, “আমার প্রতিবেশীর বাড়ির ঘটনা। সত্যিই খুব মর্মান্তিক দৃশ্য দেখলাম। খুব খারাপ লাগলো। আমারও ৩ টি ছাগল ছিলো। বাড়ি চাপা পড়ে তিনটিই মারা গিয়েছে।”
স্থানীয় গৃহবধূ জ্যোৎস্না রায়ের সব কিছু চলে গিয়েছে টর্নেডোর গ্রাসে। তিনি বলেন, “ছোট ছাগল ছানা বুঝতে পারেনি তার মা মারা গিয়েছে। ওর খিদে পেয়েছিলো। তাই স্বাভাবিক প্রবৃত্তিতেই স্তন পান করেছে। এই ছবি দেখার মতো নয়! বুকের ভিতরটা কেঁপে উঠেছিল, যখন দেখি। ওরা যে অবোধ।”
