জলপাইগুড়ি: বিজেপি পঞ্চায়েত সদস্যের বাড়িতে আগুন। তা নিয়ে শুরু রাজনৈতিক চাপানউতোর। চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে জলপাইগুড়ির ধূপগুড়ির বারঘরিয়া গ্রাম পঞ্চায়েতের দামবাড়ি এলাকায়। মধ্যরাতে বাড়িটি ভস্মীভূত হয়ে যায় । পরিবারের অভিযোগ, আগুন বাড়িতে লাগিয়ে দেওয়া হয়েছে। সেটা তাঁরা টেরও পেয়েছেন। ধূপগুড়ি থানায় গোটা বিষয়টি বিজেপি পঞ্চায়েত সদস্যের পক্ষ থেকে গ্রেফতার করা হয়েছে। পরিবারের সদস্যদের অভিযোগ, রবিবার গভীর রাতে আনুমানিক আড়াইটে নাগাদ কয়েকজন বাড়ির সামনে জড়ো হয়েছিলেন। তাঁদের ফিসফিসানির শব্দও তাঁরা শুনতে পেয়েছিলেন। বিজেপি পঞ্চায়েত সদস্য মহম্মদ আলমের বাড়িতে আগুন লাগানো হয় বলে অভিযোগ।
আচমকা পরিবারের সদস্যরা পোড়া গন্ধ পান। তাঁরা যতক্ষণে আঁচ করতে পারেন বাড়ির একটা ঘর ততক্ষণে দাউ দাউ করে জ্বলতে থাকে। ঘরের বাইরে এসে দেখতে পায়, পাশের আরেকটি ঘর জ্বলছে। চিৎকার চেঁচামেচি শুনে ছুটে যান স্থানীয় বাসিন্দারাই। তাঁরা ঘর থেকে বালতি-গামলা করে জল এনে আগুন নেভাতে থাকেন। খবর দেওয়া হয় ধূপগুড়ি দমকল কেন্দ্রেও। কিন্তু দমকলের তরফ থেকে ফোন পর্যন্ত ধরা হয়নি বলে অভিযোগ। শেষমেশ স্থানীয় বাসিন্দাদের সহযোগিতায় পাম্প সেট দিয়ে পুকুরের জল দিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনা হয়।
খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে ছুটে যায় ধূপগুড়ি থানার পুলিশ। যদিও পরিবারের অভিযোগ, রাতে বাড়িতে আগুন লাগানো হয়েছে। কিন্তু কে বা কারা এই আগুন লাগিয়েছেন, এখনও পর্যন্ত পরিবারের তরফ থেকে স্পষ্ট করে কিছু বলা হয়নি। ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে ধূপগুড়ি থানার পুলিশ।
বাড়ির মালিক বলেন, “যে ঘরটায় আগুন লেগেছে, সেখানে বিদ্যুতের কোনও তার ছিল না। আগুন লাগার কোনও কারণই নেই। কেউ আগুনটা লাগিয়ে দিয়েছে।” পরিবারের এক সদস্য বলেন, “আগুন তো লাগানোই হয়েছে। কারণ ঘরের সামনে হোল্ডার থেকে বাল্বটা খুলে নেওয়া হয়েছে। তবুও তখন কিছু ভাবিনি। রাতে হঠাৎ শোঁ শোঁ করে শব্দ শুনতে পাই। বেরিয়ে এসে দেখি ঘর জ্বলছে।”
তৃণমূলের জলপাইগুড়ি জেলা সাধারণ সম্পাদক রাকেশকুমার সিংয়ের বক্তব্য, “এখনও পর্যন্ত কোনও অভিযোগ আমরা শুনি নি। গভীর রাতে আগুন লাগলেও, তা সকালে খবর দেওয়া হয়েছে পুলিশে। পুলিশ তদন্ত করে দেখবে। শুনলাম এমন আগুন লেগেছে, যে দমকলকেও আসতে হয়নি। দু’বালতি জল ঢেলেই নিভে গিয়েছে। আসল ঘটনা পুলিশ সামনে আনুক।”