জলপাইগুড়ি: যে রাস্তা দিয়ে বিদ্যালয়ের ছাত্র ছাত্রীদের যাতায়াত। সেই রাস্তার গা ঘেঁষে থাকা দেওয়ালের ওপর লেখা রয়েছে অশ্রাব্য গালিগালাজ এবং নোংরা নোংরা ছবি।যারফলে স্কুলে যাওয়া আসার পথে মাথা নীচু করে যাতায়াত করে ছাত্রীরা। ডুয়ার্সের গয়েরকাটার ঘটনা। অশালীন সেই দেওয়াল দেখে রীতিমত হতবাক এলাকার জনপ্রতিনিধি থেকে শুরু করে অভিভাবকরাও।
ডুয়ার্সের গয়েরকাটা হাই স্কুল থেকে বাজারে আসার মূল সড়ক তার পাশেই রয়েছে মাঠের সীমানা প্রাচীর। আর তাতেই অশালীন ভাষায় লেখা রয়েছে বিভিন্ন অশ্রাব্য গালিগালাজ। এমনকি এমন সব ছবি আঁকা রয়েছে যা দেখা মুশকিল। আর সেই রাস্তা ধরেই যাতায়াত করতে হয় বিদ্যালয়ের ছাত্র ছাত্রীদের। যার ফলে সবচাইতে বেশি বিপাকে পড়েছেন বিদ্যালয়ের ছাত্রীরা। এদিকে বিষয়টি নজরে আশা মাত্রই তড়িঘড়ি দেওয়ালটি রং করার ব্যাপারে উদ্যোগের কথা জানিয়েছে, গ্রাম পঞ্চায়েতের কর্তৃপক্ষ থেকে শুরু করে বিদ্যালয় পরিচালন সমিতির সভাপতি। তবে রাতের অন্ধকারে কারা এই ধরনের কাণ্ড ঘটিয়েছে, তা এখনও জানা যায়নি।
বুদ্ধিজীবীদের মতে, এই দেওয়ালে আঁকানো ছবি দেখে বোঝা যায়. সামাজিক অবক্ষয় কোথায় পৌঁছেছে। এপ্রসঙ্গে গয়েরকাটা হাই স্কুল পরিচালন সমিতির সদ্য দায়িত্বপ্রাপ্ত সভাপতি দেবার্ঘ চৌধুরী বলেন, “বিষয়টি আপনাদের মাধ্যমেই জানতে পেরেছি। আগামী দু’দিনের মধ্যেই দেয়ালটা নিজেদের উদ্যোগে রঙ করে দেওয়ার ব্যবস্থা করছি। এধরণের ঘটনা যারা ঘটিয়েছে মোটেই ঠিক করেনি, আমরা খতিয়ে দেখে উপযুক্ত ব্যবস্থা গ্রহণ করবো।”
গ্রাম পঞ্চায়েত প্রধান বিনোদ ওঁরাও বলেন, “হাই স্কুলের মাঠে গ্যালারি নির্মাণের পর মাঠটির চারপাশ যাতে দখল না হয়, তাই আমরা গ্রাম পঞ্চায়েতের পক্ষ থেকে আনুমানিক সাড়ে চার লক্ষ টাকা ব্যয়ে সেই সীমানা প্রাচীরটি নির্মাণ করি। কে বা কারা এধরনের ঘটনা ঘটিয়েছে, আমাদের জানা নেই। বিদ্যালয় পরিচালন সমিতির সভাপতির সঙ্গে কথা বলে বিষয়টি আমরা খতিয়ে দেখব।”