Jalpaiguri Domestic Violence: জুয়া খেলবে বলে স্ত্রীকে টাকার আনার জন্য চাপ, পরিণতি ভয়ঙ্কর
Jalpaiguri Domestic Violence: স্বামী ও শ্বশুরবাড়ির সদস্যদের বিরুদ্ধে ধূপগুড়ি থানায় অভিযোগ দায়ের হয়েছে। ধূপগুড়ি ব্লকের গাড়িয়ালটারি গ্রামের ঘটনা।
জলপাইগুড়ি: গ্রামে বসেছিল জুয়ার ঠেক। আর সেই জুয়া খেলার জন্য টাকা না দেওয়ায় স্ত্রীকে ঘরের মধ্যে দড়ি দিয়ে বেঁধে নির্মম অত্যাচারের অভিযোগ স্বামীর বিরুদ্ধে। গুরুতর আহত স্ত্রী চন্দনা। সারা শরীর জুড়ে কালশিটে চাকা চাকা দাগ। চাঞ্চল্য ধূপগুড়িতে। স্বামী ও শ্বশুরবাড়ির সদস্যদের বিরুদ্ধে ধূপগুড়ি থানায় অভিযোগ দায়ের হয়েছে। অভিযোগের ভিত্তিতে তিনজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। ধূপগুড়ি ব্লকের গাড়িয়ালটারি গ্রামের ঘটনা।
জুয়া খেলবে স্বামী, তার জন্য শ্বশুরবাড়ি থেকে স্ত্রীকে টাকা আনার জন্য চাপ, টাকা আনতে না পারায় গামছা দিয়ে হাত বেঁধে, ঘরে আটকে স্ত্রীকে বেধড়ক মারধর করার অভিযোগ উঠেছে স্বামীর বিরুদ্ধে । ঘটনায় স্বামী-সহ শ্বশুর,শাশুড়ি ও ননদের বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ দায়ের করলেন স্ত্রী। এতটাই নির্মমভাবে অত্যাচার করা হয়েছে, সঠিকভাবে দাঁড়াতেও পারছেন না।
জানা গিয়েছে, ধূপগুড়ি ব্লকের গাড়িয়ালটারির বাসিন্দা শ্যামল রায়ের সঙ্গে চামটিমুখির বাসিন্দা চন্দনা রায়ের বিয়ে হয় বছর ছয়েক আগে। শ্যামল রায় কৃষিকাজ করেন। তাঁদের এক ছেলেও রয়েছে। বিয়ের পর চন্দনা জানতে পারেন, জুয়া খেলেন তাঁর স্বামী। চন্দনা ভেবেছিলেন হয়তো তাঁর স্বামী বিয়ের পর আর জুয়া খেলবেন না। তবে বিয়ের কিছুদিন যেতেই স্ত্রীকে বাপেরবাড়ি থেকে টাকা আনার জন্য চাপ দিতেন তাঁর স্বামী। এমনকি টাকা আনতে না পারলে মাঝেমধ্যেই গালিগালাজ ও মারধর করতেন বলে অভিযোগ। তবে সব কিছুই সহ্য করতে চন্দনা।
বিষয়টি স্থানীয় গ্ৰাম পঞ্চায়েত সদস্যকে জানিয়েছিলেন চন্দনা। পঞ্চায়েত সদস্যের স্ত্রীকে দেখিয়েছিলেন কীভাবে মৃত্যু হয়েছে। এই নিয়ে সালিশি সভাও হয়েছিল। যদিও শ্বশুরবাড়িতে অত্যাচারিত হলেও চন্দনা বিষয়টি, সে তাঁর বাবা মাকে সেভাবে জানাননি।
চন্দনা রায়ের অভিযোগ, সম্প্রতি পাড়ায় জুয়ার আসর বসে। আর সেখানে জুয়া খেলবে বলেই শ্যামল তাঁর স্ত্রীকে শ্বশুরবাড়ি থেকে টাকা আনার জন্য চাপ দিতে থাকেন বলে অভিযোগ। এদিকে চন্দনার বাড়ির আর্থিক অবস্থাও ভাল নয়, তাছাড়া চন্দনার বোনের বিয়ে । তাই তার বাবার বাড়ি থেকে টাকা আনতে পারেননি চন্দনা। অভিযোগ, টাকা না পেয়েই স্ত্রীর হাত গামছা দিয়ে পেছন মোড়া করে বেঁধে ঘরের মধ্যে আটকে বেধড়ক মারধর করেন। শ্বশুরও তাঁকে লাথি মারেন বলে অভিযোগ। ধূপগুড়ি থানায় স্বামী-সহ শ্বশুরবাড়ির সদস্যদের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেছেন চন্দনা।
ধূপগুড়ি থানার পুলিশের তরফে জানানো হয়েছে, অভিযোগের ভিত্তিতে মহিলার স্বামী-সহ তিনজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। আগামিকাল জলপাইগুড়ি আদালতে তোলা হবে। প্রয়োজনে হেফাজতে চাওয়া হবে।