Jalpaiguri: ছেলের মৃত্যুর খবর জানাতে এসে ফাঁকা বাড়িতে বিছানায় মায়ের অবস্থা দেখে ফেলেন পড়শিরা
Jalpaiguri: মঙ্গলবার সকালে ময়নাগুড়ি ১৪ নম্বর ওয়ার্ডের কৃষি জমিতে এক যুবককে উল্টো অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখেছিলেন স্থানীয় বাসিন্দারা। তাঁরা দেহ দেখেই চিনতে পেরে যান, সেটি পরিমলের দেহ। বাড়ি ১২ নম্বর ওয়ার্ডে। ছেলের মৃত্যুর খবর তাঁর মাকে দিতে এসেছিলেন প্রতিবেশী নিরুবালা।
জলপাইগুড়ি: ক্ষেতের মধ্যে পড়ে রয়েছে রক্তাক্ত ক্ষতবিক্ষত দেহ। স্থানীয় বাসিন্দারা গিয়ে দেখতে পান, এ তো পাড়াই ছেলে। হোমগার্ড হওয়ার সুবাদে তাঁর পরিচিতিও ছিল পাড়ায়। পড়শিরা দৌড়ে গিয়ে তাঁর মাকে খবর দিতে গিয়েছিলেন। কিন্তু ঘরে ঢুকে তাঁর মায়ের অবস্থা দেখে রীতিমতো শিউরে ওঠেন তাঁরা। বিছানায় হেলান দিয়ে বসে রয়েছেন মা। শরীর নিথর। এক হোমগার্ড ও তাঁর মায়ের মৃতদেহ উদ্ধারের ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়াল জলপাইগুড়ির ময়নাগুড়িতে। পুলিশ গিয়ে পৃথক জায়গা থেকে মৃতদেহ দুটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠিয়েছে। পুলিশ জানিয়েছে, মৃত ব্যক্তির নাম পরিমল বর্মন (৪৫)। তার মায়ের নাম সবিতা বর্মন (৬৫)।
মঙ্গলবার সকালে ময়নাগুড়ি ১৪ নম্বর ওয়ার্ডের কৃষি জমিতে এক যুবককে উল্টো অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখেছিলেন স্থানীয় বাসিন্দারা। তাঁরা দেহ দেখেই চিনতে পেরে যান, সেটি পরিমলের দেহ। বাড়ি ১২ নম্বর ওয়ার্ডে। ছেলের মৃত্যুর খবর তাঁর মাকে দিতে এসেছিলেন প্রতিবেশী নিরুবালা। বাড়িতে মা ও ছেলে থাকতেন। ছেলের এই অবস্থায় কথা জানাতে তিনি তাঁর বাড়ির সামনে হাঁকডাক শুরু করেন। তাঁর বয়ান অনুযায়ী, তিনি কোনও সাড়া শব্দ না পেয়ে ঘরে ঢুকে যান। ঘরের দরজা বাইরে থেকে ভেজানো ছিল। অত্যন্ত পরিচিত হওয়ায় তিনি দরজা খুলে ঘরে ঢুকে দেখেন, বিছানায় হেলান দিয়ে বসে রয়েছেন পরিমলের মা। মাথাটা বাঁ দিকে হেলানো ছিল। তাঁকে স্পর্শ করে ডাকেন নিরুবালা। তখনই বুঝতে পারেন, শরীর শক্ত হয়ে গিয়েছে। খবর দেওয়া হয় ১২ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলরকে। তিনি বিষয়টি পুলিশকে জানান।
স্থানীয় বাসিন্দা শ্যামল নন্দী জানান, “আমি জানি পরিমল ভোরে মাছ ধরতে বের হয়। তেমনি হয়তো আজও বেরিয়েছিল। কিন্তু এখন মনে হচ্ছে তাকে খুন করা হয়েছে।”
১২ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর তুহিন চৌধুরী বলেন, “এই পরিবার আমার অত্যন্ত কাছের। ঘটনা অত্যন্ত বেদনাদায়ক। আমি চাই এই পূর্ণাঙ্গ তদন্ত হোক।” মৃতদেহ দুটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে। ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে ময়নাগুড়ি থানার পুলিশ।