জলপাইগুড়ি: বিনা প্রেসক্রিপশনে ওষুধ বিক্রি করলে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে। ওষুধ বিক্রেতাদের ডেকে সতর্ক করল পুলিশ। সম্প্রতি জলপাইগুড়ি শহরে প্রচণ্ড হারে বেড়েছে মাদকের ব্যবসা। আর এর জেরে নেশায় আসক্ত হয়ে পড়ছে যুব সমাজ। ফলে শহরে বাড়ছে চুরি, ছিনতাই, কেপমারির মতো ঘটনা।
অভিযোগের পাহাড় জমছে থানা গুলিতে। বেড়ে চলা এই সমস্ত ঘটনা নিয়ে পুলিশের দারস্থ হয়েছে শাসক দল-সহ অন্যান্য রাজনৈতিক দলগুলি। এরপর নড়েচড়ে বসে পুলিশ। শুরু হয় অভিযান।
বুধবার জলপাইগুড়ি শহর থেকে দুই কুখ্যাত মাদক ব্যবসায়ীকে গ্রেফতার করেছিল পুলিশ। তাঁদের কাছ থেকে উদ্ধার হয়েছে ৫ শতাধিক পাতা ঘুমের ওষুধ এবং শতাধিক বোতল কাফ সিরাপ। এই বিপুল পরিমাণ নেশা জাতীয় ওষুধ উদ্ধারের এত বিপুল পরিমাণ মাদক কীভাবে তাঁদের হাতে এল তার কারণ উদ্ধার করতে তৎপর হয় পুলিশ।
এরপর বৃহস্পতিবার রাতে জলপাইগুড়ি শহরের ওষুধ ব্যবসায়ীদের থানায় ডেকে পাঠায় পুলিশ। তাঁদের সঙ্গে বৈঠকে বসেন জলপাইগুড়ি কোতোয়ালি থানার আই সি অর্ঘ্য সরকার। সেই বৈঠক থেকে ওষুধ ব্যাবসায়ীদের বিনা প্রেসক্রিপশনে ওষুধ বিক্রি করতে নিষেধ করা হয় বলে জানা গিয়েছে।
ওষুধ ব্যাবসায়ী নবেন্দু দাস বলেন, “শহরে প্রচণ্ড হারে মাদকের ব্যবসা বেড়েছে। প্রচুর মাদক ব্যবসায়ীকে গ্রেফতার করছে পুলিশ। তাঁদের কাছ থেকে বিপুল পরিমাণ মাদক ও ঘুমের ওষুধ উদ্ধার করছে পুলিশ। তাই আজ ওষুধ ব্যবসায়ীদের থানায় ডেকে নিয়ে পুলিশের পক্ষ থেকে বলা হয় বিনা প্রেসক্রিপশনে কেউ যাতে ওষুধ বিক্রি না করে। আমরাও জানালাম আমাদের সংগঠনের পক্ষ থেকে প্রতিটি সভায় এই ব্যাপারে সতর্ক করা হয়।” তিনি আরও বলেন, “আমরাও চাই শহর নেশা মুক্ত হোক। এরপর যদি কেউ বিনা প্রেসক্রিপশনে ঘুমের ওষুধ বিক্রি করে তবে সংগঠন তাঁদের পাশে থাকবে না।”
ঘটনায় ডিএসপি ক্রাইম বলেন, “প্রচুর ঘুমের ওষুধ উদ্ধার হচ্ছে। তাই আমরা ওষুধ ব্যবসায়ীদের ডেকে সতর্ক করলাম, যাতে তাঁরা কেউ বিনা প্রেসক্রিপশনে ওষুধ বিক্রি না করেন।”
আরও পড়ুন: Anarul Arrested on Bagtui Massacre: কে আনারুল হোসেন? কেন তড়িঘড়ি গ্রেফতার করালেন মমতা?