Jalpaiguri: হাতির থেকে বাঁচতে JCB-র পিছনে আশ্রয়, কিন্তু তাতেও মিলল না রক্ষা

Jalpaiguri Elephant Attack: খবর পেয়ে মরাঘাট রেঞ্জের বনকর্মীরা দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছে আহতদের উদ্ধার করে প্রথমে বানারহাট হাসপাতালে পাঠান। পরে পিরু ওঁরাওকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় মালবাজার সুপার স্পেশ্যালিটি হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়। পরবর্তীতে বনকর্মীদের তৎপরতায় দলছুট হাতিটিকে জঙ্গলের দিকে তাড়িয়ে মরাঘাট জঙ্গলে ফিরিয়ে দেওয়া হয়।

Jalpaiguri: হাতির থেকে বাঁচতে JCB-র পিছনে আশ্রয়, কিন্তু তাতেও মিলল না রক্ষা
আহত দুই ব্যক্তিImage Credit source: TV9 Bangla

| Edited By: শর্মিষ্ঠা চক্রবর্তী

Oct 10, 2025 | 8:28 PM

জলপাইগুড়ি: আবারও হাতির হামলায় চাঞ্চল্য ছড়াল ধূপগুড়ি মহকুমার গয়েরকাটা চা বাগানে। শুক্রবার বিকালে গয়েরকাটা চা বাগানের ৯ নম্বর সেকশনে আচমকা একটি দলছুট হাতি ঢুকে পড়ে। সেই সময় বাগানে অশুদ্ধার কাজ চলছিল। মাঠে উপস্থিত দুই শ্রমিক, পিরু ওঁরাও (৬৫) ও প্রদীপ কুজুর (৪৫), হঠাৎই হাতিটির মুখোমুখি হয়ে পড়েন। নিজেদের বাঁচাতে তাঁরা জেসিবির পিছনে আশ্রয় নেন।

কিন্তু ততক্ষণে ক্ষিপ্ত হাতিটি প্রথমে জেসিবির উপর হামলা চালায়, তারপর দুই শ্রমিকের ওপরেও আঘাত করে। ঘটনায় গুরুতর আহত হন দুজনেই। তাঁদের আর্তচিৎকার শুনে আশপাশে থাকা অন্যান্য শ্রমিকরা ছুটে এসে খবর দেন বন দফতরকে।

খবর পেয়ে মরাঘাট রেঞ্জের বনকর্মীরা দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছে আহতদের উদ্ধার করে প্রথমে বানারহাট হাসপাতালে পাঠান। পরে পিরু ওঁরাওকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় মালবাজার সুপার স্পেশ্যালিটি হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়। পরবর্তীতে বনকর্মীদের তৎপরতায় দলছুট হাতিটিকে জঙ্গলের দিকে তাড়িয়ে মরাঘাট জঙ্গলে ফিরিয়ে দেওয়া হয়।

ঘটনার পর বিকেল নাগাদ শ্রমিক মহলে ব্যাপক আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। চা বাগানের শ্রমিকরা জানান, গত কয়েকদিন ধরে এলাকায় হাতির আনাগোনা বেড়েছে, ফলে আতঙ্কে কাজ করতে নামছেন তাঁরা।

মরাঘাট রেঞ্জের রেঞ্জার চন্দন ভট্টাচার্য বলেন, “গয়েরকাটা চা বাগানে হাতির হামলায় দুই শ্রমিক আহত হয়েছেন। তাঁরা দু’জনেই মুন্সি লাইনের বাসিন্দা। একজনকে মালবাজার হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়েছে, কারণ তাঁর অবস্থা আশঙ্কাজনক। হাতিটিকে নিরাপদে জঙ্গলে ফিরিয়ে দেওয়া হয়েছে।”

এই ঘটনায় বন দফতর সতর্কতা জারি করেছে। শ্রমিকদের সতর্ক থাকার পরামর্শ দিয়েছেন বন দফতরের আধিকারিকরা। এমনিতেই প্রাকৃতিক বিপর্যয়ে বিপর্যস্ত উত্তরবঙ্গ। সেখানকার বাসিন্দাদের এমনিতেই অস্তিত্ব রক্ষার লড়াই চালাচ্ছেন। বিধ্বস্ত বন্য জন্তুরাও। তারাও ঘর হারিয়েছে। তাতে আরও বেশি লোকালয়ে ঢুকে পড়ার প্রবণতা বাড়ছে। স্থানীয় এক বাসিন্দা বলেন, “হাতি আগেও ঢুকত। কিন্তু এখন আমাদের মাথা গোঁজার ঠাঁই অর্ধেকের নেই। তার মধ্যে এরকম হলে, সত্যিই বাঁচব কীভাবে?”