Jalpaiguri: লম্বা শক্ত জিনিসটা এভাবে অফিসারের হাতে তুলে দেবে কে ভেবেছিল!
Jalpaiguri: জানা গিয়েছে, শুক্রবার রাত্রিবেলা আমবাড়ি ফালাকাটা রেঞ্জের রেঞ্জ অফিসার আলমগীর হকের কাছে গোপন সূত্রে খবর আসে। তিনি জানতে পারেন শিলিগুড়ি থেকে নেপালে পাচার করা হচ্ছে হাতির দাঁত। এরপরই ক্রেতা সেজে টোপ দিলেন তিনি। আর সেই টোপ খেয়েও নিলেন পাচারকারীরা।
জলপাইগুড়ি: সিভিল পোশাকে হাজির হলেন ওরা। তারপর জিনিসগুলির দাম-দর করছিলেন। সেই মতো সবটা ঠিকও হয়ে গেল। কিন্তু পাচারকারীরা বুঝতে পারেনি কাদের পাল্লায় পড়েছে। হাতে হাতির দাঁত নিয়ে আসতেই গ্রেফতার হল তারা। ঘটনাটি ঘটেছে জলপাইগুড়ি আমবাড়ি ফালাকাটা রেঞ্জের রেঞ্জ অফিসে।
কী ঘটেছে?
জানা গিয়েছে, শুক্রবার রাত্রিবেলা আমবাড়ি ফালাকাটা রেঞ্জের রেঞ্জ অফিসার আলমগীর হকের কাছে গোপন সূত্রে খবর আসে। তিনি জানতে পারেন শিলিগুড়ি থেকে নেপালে পাচার করা হচ্ছে হাতির দাঁত। এরপরই ক্রেতা সেজে টোপ দিলেন তিনি। আর সেই টোপ খেয়েও নিলেন পাচারকারীরা।
কীভাবে ছক কষলেন রেঞ্জ অফিসাররা?
আলমগীর হক অভিযুক্তদের সঙ্গে কথা বলে হাতির দাঁতগুলির দরদাম ঠিক করেন। এরপর টিম নিয়ে চলে যান শিলিগুড়ির চম্পাসারি এলাকায়। প্রথমে এক পাচারকারী এসে জানায় দু’টি হাতির দাঁত রয়েছে। দাঁত গুলির জন্য ১৫ লক্ষ টাকা। এরপর দাঁতগুলি নিয়ে আসা মাত্রই তাঁদের বমাল গ্রেফতার করেন তিনি।
এই ঘটনার পর এলাকায় আসেন এডিএফও মঞ্জুলা তিরকি। রেঞ্জ অফিসার আলমগীর হক জানায় শিলিগুড়ি চম্পাসারি থেকে তিন জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। ধৃতদের আজ জলপাইগুড়ি আদালতে তোলা হবে। এদের কাছ থেকে দুটি হাতির দাঁত উদ্ধার হয়েছে।
অফিসার জানিয়ছেন, অভিযুক্তরা পাঁচজন ছিলেন। কিন্তু অভিযানের সময় সুযোগ বুঝে দুই জন পালিয়ে যান। যেই তিন জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। অভিযুক্তদের একজনের বাড়ি শিলিগুড়ি। বাকি দুজনের বাড়ি ভিন্ন রাজ্যে। তিন জনকে জেরা করে জানা গিয়েছে শিলিগুড়িতে এই বন্য প্রাণির দেহাংশ পাচার করার একটি বড় চক্র কাজ করছে। এই ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে।