জলপাইগুড়ি: তিন বছর হয়েছে বিয়ের। ভালোবেসেই বিয়ে করেছিলেন। আর পাঁচটা সংসারের মতো তাঁদের দাম্পত্য জীবনেও অশান্তি হত খুঁটিনাটি বিষয় নিয়ে। প্রতিবেশীদের কথায়, অশান্তি তো মিটেও যেত। আবার একসঙ্গে ঘুরতে-খেতে বেরোতেন। তবে কীভাবে সম্ভব এমন ঘটনা? এক গৃহবধূর অস্বাভাবিক মৃত্যুর ঘটনা ঘিরে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে ধূপগুড়ির কদমতলা বাজার এলাকায়। মৃতের নাম দীপা মণ্ডল (২৬)। বছর তিনেক আগে ধূপগুড়ির সুজিত মণ্ডলের সঙ্গে বিয়ে হয় দীপার। প্রতিবেশীদের কাছ থেকে জানা যাচ্ছে, স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে দৃশ্যত সম্পর্ক ভালোই ছিল। তাঁরা সিনেমা দেখতে যেতেন, রেস্টুরেন্টে একসঙ্গে খেতেও যেতেন। মাঝেমধ্যে কথা কাটাকাটি হত বটে, তবে সেই জল কোনওদিনই মাথার ওপর দিয়ে যায়নি।
পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, সুজিত মণ্ডল শনিবার সকালে বাজারে গিয়েছিলেন। সেখান থেকে ফিরে এসে তিনি দেখেন ঘরের দরজা ভিতর থেকে বন্ধ। বারবার ডেকেও সাড়া মেলেনি। পরে প্রতিবেশীদের ডেকে আনেন তিনি। দরজা ভেঙে ভিতরে ঢুকে দেখেন, গলায় শাড়ির ফাঁস লাগিয়ে ঝুলছেন স্ত্রী।
রীতিমতো স্তম্ভিত হয়ে যান তিনি। আকস্মিকতার রেশ কাটিয়ে উঠতে পারছিলেন না প্রতিবেশীরাও। কেন এমনটা ঘটল, সেটাই বুঝতে পারছিলেন না তাঁরা। স্বামীর কথায়, “আমার মাথাতে কিছুই আসছে না। কীভাবে কী ঘটল, স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে তো ঝামেলা অল্প বিস্তর হয়। আমরা তো তার ব্যতিক্রম নই। কিন্তু তা বলে এমনটা করে বসবে!”
প্রতিবেশীরাই গৃহবধূকে উদ্ধার করেন। হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসকরা তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। প্রাথমিক ভাবে এটি আত্মহত্যার ঘটনা বলেই মনে করা হচ্ছে। যদিও মৃত্যুর সঠিক কারণ জানতে তদন্তে পুলিশ। দেহটি ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে।