জলপাইগুড়ি: স্কুলের ভেতরে ছাত্রী শ্লীলতাহানীর অভিযোগকে কেন্দ্র করে উত্তেজনা ছড়াল ধূপগুড়িতে। অভিযুক্ত শিক্ষককে ঘেরাও করে বিক্ষোভ দেখান ছাত্রীর পরিবারের সদস্য ও অন্যান্য অভিভাবকরা। অভিযুক্ত শিক্ষককে উদ্ধার করতে গিয়ে বিক্ষোভের মুখে পড়ে পুলিশ। গ্রামবাসীরা লাঠি,চটি হাতে পুলিশকে ঘিরে বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন। শেষ পাওয়া খবর অনুযায়ী, অভিযুক্ত শিক্ষককে উদ্ধারে দিয়ে থানায় নিয়ে গিয়েছে পুলিশ। তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। যদিও অভিযুক্ত শিক্ষকের বক্তব্য, তাঁর বিরুদ্ধে ওঠা সমস্ত অভিযোগ মিথ্যা। তাঁকে চক্রান্ত করে ফাঁসানো হচ্ছে।
একটি প্রাইমারি স্কুলের ক্লাস থ্রির ছাত্রীর শ্লীলতাহানির অভিযোগ তোলেন তার পরিবারের সদস্যরা। বেশ কিছুদিন নাকি ওই ছাত্রীকে শ্লীলতাহানি করা হয়েছে বলে অভিযোগ। পরে স্কুল ছুটি পড়ে যায়। আজ স্কুল খুলতেই হাজির হন অভিভাবকরা।
অভিযুক্ত শিক্ষকের উপর চড়াও হন তাঁরা। শিক্ষককে মারধর করার অভিযোগ ওঠে গ্রামবাসীদের বিরুদ্ধে। স্কুলের অফিস রুমে তালা ঝুলিয়ে বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন তাঁরা। ছাত্রীর শ্লীলতাহানির অভিযোগকে কেন্দ্র করে রীতিমতো চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে গোটা এলাকায়।
পরিবারের অভিযোগ, স্কুলে অভিযুক্ত শিক্ষক প্রায়ই ওই ছাত্রীকে শারীরিকভাবে নির্যাতন করতেন। ছাত্রীটি আসলে স্কুলে আসতে চাইত না। তখন বাড়ির লোক চাপ দিতেই কারণটি জানায় ছাত্রী। ছাত্রীটি কান্নায় ভেঙে পড়ে। ওই শিক্ষকেরই নাম করে বলে দাবি পরিবারের। এই ঘটনা জানার পর পরিবারের সদস্যরা রীতিমতো ক্ষোভে ফেটে পড়েন। পরে ওই স্কুলেরই অন্যান্য অভিভাবক ও পরিবারের সদস্যরা এসে শিক্ষককে ঘিরে বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন।
এই ঘটনার খবর পেয়ে ধূপগুড়ি থানার বাহিনী সেখানে উপস্থিত হয়। পুলিশ অভিযুক্তকে উদ্ধার করতে গিয়ে বিক্ষোভের মুখে পড়ে। পুলিশকে ঘিরে রীতিমতো বিক্ষোভ দেখান মহিলারা। হাতে লাঠি, চটি নিয়ে পুলিশকে ঘেরাও করেন। পরিস্থিতি সামাল দিতে নামাতে হয় র্যাফ।
পরে স্থানীয় পঞ্চায়েত প্রধানের হস্তক্ষেপে অভিযুক্ত শিক্ষককে উদ্ধার করে ধূপগুড়ি থানায় নিয়ে আসে পুলিশ । ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে ধূপগুড়ি থানার পুলিশ। এলাকায় উত্তেজনা রয়েছে।