Jalpaiguri: ট্রেনের কামরায় পুলিশে ছয়লাপ, নাবালিকার চোখে চোখ পড়তেই রহস্য ভেদ!
Jalpaiguri: চা বাগানের শ্রমিকদের এমনিই দুর্দশা বারোমাসের। অভাব অনটনের সংসার। দু'পয়সা রোজগারের আশায় অনেক সময়ই ভুল পথে পা বাড়ি ফেলেন কেউ কেউ। অনেক নাবালিকাকে দেওয়া হয় কাজের টোপ। তারাও বাড়িতে না জানিয়েই বেরিয়ে পড়ে মাঝেমধ্যে।

জলপাইগুড়ি: কাজের প্রলোভন দেখিয়ে দিল্লিতে এক নাবালিকাকে পাচারের চেষ্টার অভিযোগ উঠল। অসমের এক চা শ্রমিকের মেয়েকে দিল্লিতে কাজের লোভ দেখিয়ে নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল বলে অভিযোগ। গোপন সূত্রে খবর পেয়ে অভিযানে নামে জলপাইগুড়ি রোড স্টেশনের আরপিএফের স্পেশাল টিম। শুক্রবার সকালে দিল্লিগামী ব্রহ্মপুত্র মেল থেকে ওই নাবালিকাকে উদ্ধার করা হয়। এই ঘটনায় এক মহিলাকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
চা বাগানের শ্রমিকদের এমনিই দুর্দশা বারোমাসের। অভাব অনটনের সংসার। দু’পয়সা রোজগারের আশায় অনেক সময়ই ভুল পথে পা বাড়ি ফেলেন কেউ কেউ। অনেক নাবালিকাকে দেওয়া হয় কাজের টোপ। তারাও বাড়িতে না জানিয়েই বেরিয়ে পড়ে মাঝেমধ্যে।
এরকমই এক ঘটনা শুক্রবার ঘটে। যদিও অভিযুক্তের দাবি, তিনি দিল্লিতে কাজ করেন। সেখানেই নিয়ে যাচ্ছিলেন নাবালিকাকে। তিনি বলেন, “মেয়েটা আমাকে বলেছিল মা বাবাকে জানিয়েছে। আমি দিল্লিতে কাজ করি। ওকেও কাজের জন্যই নিয়ে যাচ্ছিলাম। লোকের বাড়িতে ঘর মোছা, বাসন মাজার কাজ করবে বলে নিয়ে যাচ্ছিলাম।”
জলপাইগুড়ি রোড স্টেশন থানার পুলিশ আধিকারিক বিপ্লব দত্ত বলেন, “আমরা আমাদের এলাকার মধ্যে সবসময় সতর্কতামূলক প্রচার করি। তারপরও এরকম ঘটনা কখনও কখনও ঘটে যায়। আমরা যতটা পারি সবসময় যাত্রীকে সহযোগিতা করি। একটাই কথা বলার কাজের জন্য বা টাকার লোভে কোথাও যাওয়ার আগে একবার খোঁজ করে যান। আর বাড়ির লোককে জানিয়ে যান।”





