জলপাইগুড়ি: শুধুমাত্র হোলির দিনই জলপাইগুড়ি সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন ১০৭ জন। কম বেশি সকলেই পথদুর্ঘটনায় জখম হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হন বলে জানা গিয়েছে। অধিকাংশ ক্ষেত্রেই বেপরোয়া সাইকেল কিংবা বাইক চালিয়ে এই দুর্ঘটনার শিকার হয়েছেন। আবার অন্যের গাড়িতে ধাক্কা খেয়েছেন এমনও আছেন। শনিবারই প্রায় শতাধিক মানুষ হাসপাতালে ভর্তি হন। হোলিতে বাইক চালানো-সহ অন্যান্য ঘটনায় জলপাইগুড়ি জেলার শতাধিক মানুষ পথ দুর্ঘটনার শিকার। জখম রোগীদের সামলাতে হিমশিম খাচ্ছেন জলপাইগুড়ি সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালের চিকিৎসকরা।
শনিবার ছিল হোলি। উৎসবকে ঘিরে জেলার বিভিন্ন এলাকায় নানাভাবে পথদুর্ঘটনায় আহত হন প্রায় শতাধিক পুরুষ ও মহিলা। অন্যান্য রোগীদের সঙ্গে এই দুর্ঘটনায় আহতদের পরিষেবা দিতে গিয়ে কার্যত হিমশিম খাওয়ার জোগাড় ডাক্তারদের। জলপাইগুড়ি সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালের জেনারেল সার্জেন কেসি রায় বলেন, “আমাদের হাসপাতালে রং খেলার দিন ১০৭ জন মতো ভর্তি হয়েছেন। ৯৫ শতাংশই রং খেলার কেস। এর মধ্যে কয়েকজনের পরিস্থিতি খারাপ ছিল বলে অন্যত্র স্থানান্তরিত করেছি। বাকি ১০০ জন এখানেই চিকিৎসা করছেন। পুরুষ, মহিলা সকলেই রয়েছেন।”
হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ময়নাগুড়ির রানিহাট মোড়ের পূর্ণ বর্মণ। তিনি বলেন, দোলের দিন দু’টি সাইকেল তাঁর সামনে চলে আসে। তাতেই জখম হন তিনি। সাইকেল আরোহীরা মদ্যপ অবস্থায় ছিলেন বলেই মনে হয়েছে তাঁর। পূর্ণ বর্মন বলেন, “আমি বাইকে যাচ্ছিলাম। দু’টো সাইকেল চলে আসে সামনে। কেমন টাল খেতে খেতে যাচ্ছিল। আমি পাশ কাটাতে গেলে ওরা নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ফেলে। তাতেই আমিও পড়ে যাই। আমারই বেশি লেগেছে। আমি দাদুর বাড়ি যাচ্ছিলাম রং দিতে। বদলে হাসপাতালে বেডে এসে শুতে হল।”