জলপাইগুড়ি: ঘর অন্ধকার ছিল। সবে মাত্র সুইচ অন করেছিলেন আলো জ্বালাবেন বলে। এর মধ্যেই বিপত্তি। গৃহকর্তার চোখ উঠল কপালে। সামনে কী ওটা?
লাগাতার বেড়েছে গরম। হাঁসফাঁস অবস্থা সকলের। বিগত কয়েকদিন ধরেই গুমোট হয়ে রয়েছে জলপাইগুড়ি শহর। গরম পড়ার সঙ্গে-সঙ্গে প্রচণ্ড হারে বেড়েছে সাপের উপদ্রব। জানা গিয়েছে, গত ২৪ ঘণ্টায় জলপাইগুড়ি শহর সংলগ্ন এলাকা থেকে অন্তত ১২ টি সাপ উদ্ধার হয়েছে। যার মধ্যে বেশ কয়েকটি অত্যন্ত বিষধর কালাজ প্রজাতির ব্যান্ডেড ক্রেইট সাপ রয়েছে বলে জানা গিয়েছে।
দিনটা ছিল পয়লা বৈশাখ। শহরের ৪ নং ঘুমটি সংলগ্ন এলাকার বাসিন্দা অসীম সরকার শনিবার সন্ধ্যায় তাঁর ঘরের দেওয়ালে লাগানো থাকা কেবিন ফ্যানের সুইচ অন করতে গিয়েই চমকে ওঠেন। বিছানায় উঠে ফ্যানের কাছে যেতেই তাঁর চোখ কপালে ওঠার জোগাড় হয়। অসীম বাবু দেখেন, পুরো ফ্যান জুড়ে পেঁচিয়ে রয়েছে মস্ত বড় একটি গোখরো সাপ। সাপটি রীতিমত ফনা তুলে রয়েছে। সঙ্গে-সঙ্গে চমকে ওঠেন তিনি। লাফিয়ে খাট থেকে নিচে নামেন। এরপর একছুটে ঘর থেকে বেরিয়ে যান অসীম বাবু। যদিও, প্রথমে বুঝতে পারেননি কী করবেন তিনি। পরে পরিবেশ কর্মী বিশ্বজিৎ দত্ত চৌধুরীকে ফোন করেন। তিনি এসে সাপটিকে উদ্ধার করেন। পরে তাকে উপযুক্ত পরিবেশে ছেড়ে দেন।
বিশ্বজিৎ দত্ত চৌধুরী বলেন, এই সাপ সাধারণত এই সময়তেই গর্ত ছেড়ে বাইরে বের হয়। গত কয়েকদিন ধরে বাড়িগুলির যেই সব যায়গা থেকে সাপ গুলি উদ্ধার হয়েছে সেই সব যায়গায় বেশ অপরিষ্কার দেখা গিয়েছে। আর এই অপরিষ্কার জায়গা হল ইঁদুর বা ব্যাঙ থাকার আদর্শ। সেই কারণেই সাপ হয়ত সেগুলিকে খেতে এসেছিল। তাই এই মরশুমে বাড়ি পরিষ্কার রাখা আমাদের কর্তব্য।
আরও পড়ুন: Alipurduar Incident: রাতের অন্ধকারে মহিলার বাড়িতে প্রবেশ, ওসিকেই মারধর করল প্রতিবেশীরা