জলপাইগুড়ি: প্রথম পক্ষের স্বামীর সঙ্গে সংসার করতে সমস্যা হচ্ছিল। বছর কয়েক আগে আরও একবার বিয়ে করেন। দ্বিতীয় পক্ষের স্বামী ছোটখাটো ব্যবসা করেন। প্রথম পক্ষের দুই সন্তান থাকে তাদের বাবার কাছেই। দ্বিতীয় স্বামীর সঙ্গে সংসার করছিলেন মহিলা। কিন্তু তারপর দুই স্বামীর তাঁকে টানাপোড়েনেই মহিলার চরম সিদ্ধান্ত। উদ্ধার হল মহিলার গলায় ফাঁস লাগানো ঝুলন্ত দেহ। মৃতের নাম
শ্যামলী রায় (৩৭)। ঘটনাকে ঘিরে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে ধূপগুড়ি ব্লকের গধেয়ারকুঠি গ্ৰাম পঞ্চায়েতের বগরিবাড়ি এলাকায়।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, শ্যামলি রায়ের দুই স্বামী বর্তমান। শ্যামলী এখন তাঁর দ্বিতীয় পক্ষের স্বামী কৃষ্ণের সঙ্গে এসে সংসার করছিলেন। পেশায় প্যাণ্ডেল ব্যবসায়ী কৃষ্ণ। অবশ্য আগের পক্ষের স্বামীর বাড়িতে শ্যামলির দুই সন্তান থাকে।
বুধবার প্যাণ্ডেলের কাজে বাইরে ছিলেন কৃষ্ণ। সন্ধ্যাতেই বাড়ি ফিরে আসেন তিনি। বাড়ি ফিরে স্ত্রীকে শোওয়ার ঘরে ঝুলন্ত অবস্থায় দেখতে পান। তাঁর চিৎকারেই প্রতিবেশীরা জড়ো হয়ে যান। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছয় ধূপগুড়ি থানার পুলিশ। মৃতদেহটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য নিয়ে যাওয়া হয়েছে। ঘটনায় দ্বিতীয় পক্ষের স্বামীকে আটক করেছে পুলিশ।
প্রাথমিকভাবে জানা যাচ্ছে, ইদানীংকালে প্রথম পক্ষের স্বামীকে নিয়ে দ্বিতীয় পক্ষের স্বামীর সঙ্গে ঝগড়া হত শ্যামলীর। প্রতিবেশীদের কানেও সে কথা পৌঁছেছিল। সেই বিষয়টি নিয়ে সম্পর্কের জটিলতা তৈরি হচ্ছিল। সেই মানসিক অবসাদ থেকেই শ্যামলী আত্মঘাতী হয়েছেন বলে প্রাথমিকভাবে মনে করা হচ্ছে। পুলিশ পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে কথা বলছে। এর পিছনে অন্য আর কোনও কারণ রয়েছে কিনা, তা খতিয়ে দেখছে ধূপগুড়ি থানার পুলিশ।