জলপাইগুড়ি: কয়েক দিন ধরেই তার আগমনের ইঙ্গিত পাচ্ছিলেন বাড়ির সদস্যরা। নজরদারি আরও বাড়িয়েছিলেন। বাড়ির দরজায় খিল-কপাট দিয়ে রাখছিলেন। কিন্তু ঘরের বাইরে থেকে গিয়েছিল পোষ্য। তাতেই ঘটে গেল বিপদ। বাড়িতে চিতাবাঘ ঢুকে গোয়াল ঘর থেকে ছাগল তুলে নিয়ে গেল। ঘটনাকে কেন্দ্র করে আতঙ্ক ছড়াল মেটেলি ব্লকের উত্তর ধূপঝোরার মইনুদ্দিন পাড়া এলাকায়।
রবিবার সকালে বনকর্মীরা গিয়ে ওই বাড়ি সংলগ্ন ছোট চা বাগান ও কবরস্থানে চিতাবাঘ ও ছাগলের খোঁজে তল্লাশি চালান। কিন্তু তা সত্ত্বেও কোনও হদিশ পাননি। তবে চিতাবাঘ যে ছাগলকে তুলে নিয়ে গিয়েছে, সে বিষয়ে একপ্রকার নিশ্চিত তাঁরা। চিতাবাঘের পায়ের ছাপ দেখা গিয়েছে। জানা যায়,মইনুদ্দিন পাড়ার জনৈক নূর ইসলামের বাড়ির গোয়াল ঘরের বাঁশের বেড়া ভেঙে চিতাবাঘ ছাগলটিকে তুলে নিয়ে গিয়েছে।
বাড়ির সদস্যদের দাবি, রাত সাড়ে দশটা নাগাদ ঘটনাটা ঘটে থাকতে পারে। কারণ তাঁরা সে সময় পোষ্যের ডাক শুনেছিলেন। কিন্তু রাতে বেরিয়ে এসে দেখেন, অন্ধকারের মধ্যে পোষ্যের গলায় থাবা বসিয়ে কোনও একটা প্রাণী জঙ্গলের দিকে টেনে নিয়ে যাচ্ছে। সেই প্রাণী চিতাবাঘ বলেই দাবি পরিবারের সদস্যদের।
রবিবার সকালে ধূপঝোরা বিট অফিস থেকে বনকর্মীরা গিয়ে পটকা ফাটিয়ে চিতাবাঘের খোঁজ করেও কোনও হদিশ পাননি। কিছুদিন আগেও সংলগ্ন এলাকার একটি বাড়ি থেকে ছাগল ও কুকুর নিয়ে যায় চিতাবাঘ।
লাগাতার ওই এলাকায় চিতাবাঘের হানায় আতঙ্কিত হয়ে পড়েছেন বাসিন্দারা। এবিষয়ে বনদফতরকে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানিয়েছেন এলাকার বাসিন্দারা । বনদফতর সূত্রে জানানো হয়েছে, সন্ধ্যার পর যাতে একা কেউ বাইরে বের না হয়।বাড়িতে সকলকে সাবধানে থাকার কথা হয়েছে বনদফতরের তরফে। তবে পোষ্যকে খুইয়ে মর্মাহত পরিবারের সদস্যরা। এক জনের কথায়, “ঘরে জায়গা কম। বাধ্য হয়েই পোষ্যকে বাইরে রাখতে হয়। সেই কারণে ওকে টেনে নিয়ে গেল। চোখের সামনেই নিয়ে গেল, আমরা দেখলাম, কিছু করতে পারলাম না।”