
জলপাইগুড়ি: দুর্যোগের রেশ কাটিয়ে এখন ছন্দে ফেরার চেষ্টা করছে। TV9 বাংলার খবরের জেরে অবশেষে উদ্যোগী প্রশাসন, বন্যাদুর্গত এলাকায় শুরু পানীয় জলের কল বসানোর কাজ, বাড়ি বাড়ি পৌঁছানো হচ্ছে জল। অবশেষে বন্যাদুর্গত এলাকায় পানীয় জলের সঙ্কট কাটাতে তৎপর হয়েছে প্রশাসন। টানা বন্যার জেরে দীর্ঘদিন ধরে জলকষ্টে ভুগছিল ধূপগুড়ি মহকুমার গধেয়ারকুঠি গ্রাম পঞ্চায়েতের কুর্শামারি, বগরিবাড়ি, হোগলা পাতা-সহ একাধিক এলাকা। কোথাও কল থাকলেও ছিল না জল, আবার কোথাও বন্যার জল ঢুকে নষ্ট করেছিল পানীয় জলের কল ও কুয়ো।
এই পরিস্থিতিতে এলাকাবাসীর ভোগান্তির ছবি তুলে ধরে TV9 বাংলা। এরপরই নড়েচড়ে বসে প্রশাসন। পিএইচই দফতরের উদ্যোগে নতুন করে পানীয় জলের কল বসানোর কাজ শুরু হয়েছে দুর্গত গ্রামগুলিতে। পাশাপাশি, অন্ধকার গ্রামগুলিতে সোলার লাইট লাগানোর কাজও চলছে জোরকদমে।
স্বাস্থ্য দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, বন্যার পর কুয়ো ও কলের জল পচে যাওয়ায় তা পান করলে রোগ ছড়ানোর আশঙ্কা ছিল প্রবল। ইতিমধ্যেই কয়েকজন অসুস্থও হয়েছেন বলে দাবি স্থানীয়দের। প্রশাসন ও স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের তরফে খাবারের ব্যবস্থা করা হলেও নিত্যপ্রয়োজনীয় কাজে জলের অভাব চরম দুর্ভোগের কারণ হয়ে উঠেছিল।
তবে বর্তমানে প্রশাসনের দ্রুত উদ্যোগে কিছুটা হলেও স্বস্তি ফিরেছে দুর্গত এলাকার মানুষের মুখে। পানীয় জলের নতুন কল ও পরিস্কার অভিযানে আশার আলো দেখছেন বন্যাপীড়িতরা।
উল্লেখ্য, উত্তরবঙ্গে বিধ্বস্ত এলাকা পরিদর্শনে যান মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ত্রাণ বিলির পাশাপাশি বিপর্যয়ে নিহতদের পরিবারের হাতে তুলে দেন চাকরির নিয়োগপত্র। তারপর সেখান থেকে সরাসরি পৌঁছে যান দার্জিলিঙে। সোমবারও বন্যা বিপর্যস্ত এলাকা পরিদর্শন ও ত্রাণ বিলির কাজে জলপাইগুড়ির নাগরাকাটায় গিয়েছিলেন মুখ্য়মন্ত্রী। মুখ্যমন্ত্রীর মিরিকে যাওয়ার কথা ছিল, কিন্তু সেই সফরসূচিতে বদল আসে। মিরিক যাবেন না মুখ্যমন্ত্রী। বদলে নিয়ে সুখিয়াপোখরি যাচ্ছেন।