জলপাইগুড়ি: রাস্তার মাঝখান পড়ে ছিল রক্তাক্ত শরীরটা। পেটে গভীর ক্ষত। দেখেই মনে হচ্ছিল ভারী কোনও বস্তুর ধাক্কায় থেঁতলে গিয়েছে পেটের একাংশ। চিতাবাঘের রক্তাক্ত দেহ উদ্ধারের ঘটনায় ফের ডুয়ার্সে চাঞ্চল্য। ডুয়ার্সের তোতাপাড়া থেকে জালাপাড়াগামী রাস্তা থেকে ওই চিতাবাঘটির দেহ উদ্ধার হয়েছে। প্রাথমিকভাবে মনে করা হচ্ছে, গাড়ির ধাক্কাতেই মৃত্যু হয়েছে চিতাবাঘটির। শুক্রবার সকালে বাগানে কাজে যাচ্ছিলেন শ্রমিকরা। তাঁরাই মৃত অবস্থায় রাস্তার ওপর পড়ে থাকতে দেখতে পান চিতাবাঘটিকে। নিমেষের মধ্যে চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে এলাকায়। খবর দেওয়া হয় বিন্নাগুড়ি বন্যপ্রাণী স্কোয়ারে কর্মীদের। চিতাবাঘের মৃতদেহ পড়ে রয়েছে খবর ছড়িয়ে পড়তেই প্রচুর মানুষ ভিড় করেন এলাকায়। বনদফতর সূত্রে খবর, এটি একটি অপ্রাপ্তবয়স্ক পুরুষ চিতাবাঘ। চিতাবাঘের মৃতদেহটি উদ্ধার করে নিয়ে যাওয়া হয় লাটাগুড়ি প্রকৃতি পর্যবেক্ষণ কেন্দ্রে। সেখানে ময়নাতদন্ত করা হবে বলে বনদফতর সূত্রে খবর।
প্রসঙ্গত, গত ফেব্রুয়ারি মাসে ডুয়ার্সে জলঢাকা নদী সংলগ্ন জঙ্গলে একটি চিতাবাঘের মৃতদেহ উদ্ধারকে কেন্দ্র করে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। বন বিভাগের কর্মীরা টহলদারি চালানোর সময় প্রাপ্তবয়স্ক ওই চিতাবাঘের দেহ জঙ্গলের মধ্যে পড়ে থাকতে দেখেন। এই ঘটনায় পাচারকারীদের জড়িত না থাকার অনুমানই করছে বন বিভাগ। প্রাথমিকভাবে হাতির হামলায় ওই চিতাবাঘের মৃত্যু হয়েছে বলে মনে করছিলেন বনদফতরের কর্মীরা।
বনকর্মীরা জানতে পেরেছিলেন, চিতাবাঘটির বাচ্চা ছিল। সেই সময় আচমকা হাতির দল সামনে চলে আসায় বাচ্চার প্রাণহাণির আশঙ্কা চিতাবাঘ হাতির সঙ্গে লড়াই করে। চিতাবাঘটিকে হাতি শুঁড়ে তুলে আছড়ে ফেলে দিতে পারে। তাতেই মৃত্যু হয়েছিল বলে প্রাথমিকভাবে জানতে পেরেছিলেন বনকর্মীরা।
এদিনের ঘটনা প্রসঙ্গে বনকর্তা বলেন, “রাস্তার পার হওয়ার সময়েই হতে পারে দুর্ঘটনাটি ঘটেছে। চিতাবাঘটির পেয়ে ক্ষত রয়েছে। সেক্ষেত্রে পেটেই ধাক্কা লাগতে পারে। দেহটি পরীক্ষা করে দেখার পর বিষয়টি নিশ্চিত হবে।”
আরও পড়ুন: Jhalda Councillor Murder: ঝালদার কাউন্সিলর খুনে প্রথমেই আইসি-কে তলব সিবিআই-এর