জলপাইগুড়ি: সকালে কাজে যাচ্ছিলেন শ্রমিকরা। তাঁদেরই নজর প্রথমে বিষয়টি পড়ে। চা বাগানের ভিতর থেকে দেখতে দেখা যাচ্ছিল ছিট্ ছিট্ শরীরটা। ডুয়ার্সের মেটেলি ব্লকের নাগেশ্বরী চা-বাগান থেকে চিতাবাঘের দেহ উদ্ধার করল খুনিয়া রেঞ্জের বনকর্মীরা। এই ঘটনায় ওই এলাকায় চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়েছে। জানা গিয়েছে, সকালে চা বাগানের ২৩ নম্বর সেকশনে শ্রমিকরা যখন কাজ করতে যান, তখন তাঁরা চাবাগানের মাঝে একটি ফাঁকা জায়গায় চিতাবাঘের দেহটি পড়ে থাকতে দেখেন। এরপরই খবর পেয়ে খুনিয়া রেঞ্জের বনকর্মীরা গিয়ে চিতাবাঘটির দেহ উদ্ধার করে নিয়ে যান। চিতাবাঘটির মৃত্যু নিয়ে তৈরি হয়েছে ধোঁয়াশা। প্রাথমিক অনুমান বিষক্রিয়ায় চিতাবাঘটির মৃত্যু হয়ে থাকতে পারে। খুনিয়া রেঞ্জের তরফে জানানো হয় , “নাগেশ্বারী গান থেকে একটি চিতাবাঘের দেহ উদ্ধার করা হয়েছে।” কীভাবে চিতাবাঘের মৃত্যু হয়েছে তার কারণ জানা যায়নি। মৃত্যুর কারণ জানার জন্য চিতাবাঘের দেহটি ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে।
প্রসঙ্গত, এর আগে শিলিগুড়ির মহকুমার ফাঁসিদেওয়া ব্লকের গয়াগঙ্গা চা বাগানের ১৮ নম্বর লাইনে চিতাবাঘের দেহ উদ্ধার হয়। বনদফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, চিতাবাঘটির বয়স তিন বছর ছিল। জানুয়ারি মাসেই চিতাবাঘের দেহ উদ্ধার হয় আশপাশের ওই এলাকা থেকেই। শিলিগুড়ি মহকুমার বাগডোগরার সিঙ্গিঝোড়া চা বাগান সংলগ্ন এলাকার এশিয়ান হাইওয়েতে চিতাবাঘটির দেহ উদ্ধার হয়েছিল। এভাবে পরপর চিতাবাঘের দেহ উদ্ধারের ঘটনায় একাধিক প্রশ্ন উঠে আসছে। প্রশ্ন উঠছে, এর পিছনে কি কোনও চোরাশিকারির হাত রয়েছে? গোটা বিষয়টি খতিয়ে দেখছেন বন আধিকারিকরা।