
নাগরাকাটা: ডুয়ার্সে ফের চিতাবাঘের আতঙ্ক। এবার বাড়ির সামনে থেকে তুলে নিয়ে গেল ১২ বছরের কিশোরকে। শেষ পর্যন্ত মৃত্যু। ঘটনাটি ঘটেছে বানারহাট থানার অন্তর্গত কলাবাড়ি এলাকায়। মৃত কিশোরের নাম কারিমুল হক ওরফে আলামিন। কলাবাড়ি হাইস্কুলে ক্লাস সিক্সে পড়ছিল সে। পরিবারের সদস্যরা জানাচ্ছেন বুধবার সন্ধ্যাবেলা বাড়ির সামনে খেলছিল ওই কিশোর। তখনই আচমকা তার উপর ঝাঁপিয়ে পড়ে চিতাবাঘটি। টানতে টানতে বেশ কিছুটা দূরে নিয়ে যায়। কিছু সময় পর এলাকা থেকেই কিশোরের রক্তাক্ত দেহ উদ্ধার হয়। ঘটনায় ব্যাপক আতঙ্ক ছড়িয়েছে এলাকায়।
ঘটনার পর থেকেই বন দফতরের উপর ক্ষোভ উগরে দিচ্ছেন এলাকার বাসিন্দারা। তাঁদের অভিযোগ, এলাকায় একের পর এক চিতাবাঘের দেখা মিললেও বন দফতর কোনও সদর্থক পদক্ষেপ করছে না। বারবার গ্রামবাসীদের তরফে ব্যবস্থা নেওয়ার কথা বলেলও সেইভাবে কোনও কাজ হচ্ছে না। এলাকার এক বাসিন্দা বলছেন, রেঞ্জারের সঙ্গে কথা বলেছি।
কিশোরের মৃত্যু সংবাদ ছড়িয়ে পড়তেই প্রশাসনিক মহলেও চাঞ্চল্য তৈরি হয়েছে। খবর পেয়েই ঘটনাস্থলের উদ্দেশে বেরিয়ে পড়েন জলপাইগুড়ির জেলা সহকারি বনাধিকারিক রাজীব দে, বিন্নাগুড়ি বন্যপ্রাণী স্কোয়াডের কর্মী এবং ডায়না রেঞ্জের বনকর্মীরা।
কিছুদিন আগেই মালবাজার ব্লকের নেপুচাপুর চা বাগানে বন দফতরের পাতা খাঁচায় ধরা পড়ে একটি পূর্ণবয়স্ক চিতাবাঘ। ছাগলের টোপ দেওয়া হয়েছিল বন দফতরের তরফে। সেই পাতা ফাঁদে পা দিতেই ধরা গিয়েছিল বন্যটিকে। এবার ফের নতুন করে চিতাবাঘের আতঙ্ক জাঁকিয়ে বসেছে গোটা এলাকায়।