
বানারহাট: মন্দিরের অতিথিশালা তৈরির জন্য দু’দু’বার টাকা বরাদ্দের ঘোষণা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের। অথচ প্রকল্প রূপায়ণের টাকা হাতেই পাননি উদ্যোক্তারা বলে দাবি। প্রশাসনের দ্বারে-দ্বারে ঘুরে হতাশ। বিরোধীদের দাবি টাকা অনুদানের ঘোষণা আসলে ভাঁওতা। ধর্মের রাজনীতি করতেই মুখ্যমন্ত্রী বিভিন্ন সভা থেকে এই ধরনের টাকা বরাদ্দের কথা ঘোষণা করে থাকেন। একই মন্দিরে অতিথি শালা তৈরির জন্য দু-দু’বার টাকা বরাদ্দের কথা ঘোষণা, রীতিমতো শুরু হয়েছে বিতর্ক।
কী ঘটেছে?
সালটা ২০২৩ এর ১১ই ডিসেম্বর। রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জলপাইগুড়ি, আলিপুরদুয়ার ও কোচবিহার এই তিন জেলাকে নিয়ে প্রশাসনিক সভা করেন বানারহাটের তরুণ সংঘের মাঠে। বানারহাটের প্রশাসনিক সভার মঞ্চ থেকেই সেই সময় তৃণমূল সুপ্রিমো শতাব্দী প্রাচীন শীতলা মন্দিরের কমিটির লিখিত আবেদনের সাড়া দেন। প্রকাশ্য জনসভা থেকে মন্দির কমিটিকে অতিথি শালা নির্মাণের জন্য এক কোটি টাকার ঘোষণা করেন।
যদিও, প্রায় দু’বছরে বেশি সময় কেটে গেলেও সেই টাকা আজও হাতে পাননি মন্দির কমিটি বলে দাবি। এরপর আবারও মুখ্যমন্ত্রী উত্তরবঙ্গ সফরে গিয়েছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। গত ২০ মে শিলিগুড়ির প্রশাসনিক সভা থেকে আরও একবার বানারহাট এর শীতলা মন্দিরের জন্য এক কোটি টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে বলে ঘোষণা করলেন তিনি। প্রথমবার ঘোষণার পরেও আজও সেই টাকা মেলেনি,এই নিয়ে দ্বিতীয় বার একই মন্দিরের জন্য টাকা ঘোষণা। আদৌ কি কাজের কাজ হবে? যাকে ঘিরেই শুরু হয়েছে রাজনৈতিক তরজা।
তবে মন্দির কমিটি আশা ছাড়ছেন না। মুখ্যমন্ত্রীর দেওয়া কথায় তাঁরা দ্রুত মন্দিরের অতিথিশালা পাবেন বলেই দাবি কমিটির। মন্দিরের পুরোহিত জনতা জীবন চক্রবর্তী বলেন, “আমি তো পাঁচ মাস হল এসেছি। টাকা পেয়েছে কি না জানি না।” স্থানীয় বাসিন্দা সুজাতা বোস বলেন, “দুবছর আগে মুখ্যমন্ত্রী টাকা ঘোষণা করেন। এতদিন পর্যন্ত মন্দির টাকা পায়নি। আবার টাকা ঘোষণা করেছেন শুনেছি। এখন সেই টাকা মিলবে কি না সেটা মা শীতলাই জানে।” মন্দির কমিটির সম্পাদক সুবল বসাক বলেন, “এর আগে এক কোটি টাকা ঘোষণা করেছেন। সেই সময় বরাদ্দ হয়নি। এরপর আবার ঘোষণা করলেন। এবার হয়ত টাকা পাব।”জলপাইগুড়ি জেলা তৃণমূল কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক রাজেশ কুমার সিং বলেন, “মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যা বলেন তা করেন। ওই সময় কাগজে সমস্যা ছিল। সেই সমস্যার সামাধান হয়েছেন। আর মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ধর্মীয় রাজনীতি করেন না।”