জলপাইগুড়ি: অনুব্রত মণ্ডল গ্রেফতার হওয়ার জেলায় জেলায় তৃণমূল নেতাদের ‘বেলাগাম’ হতে শোনা গিয়েছিল। বিরোধীদের লক্ষ্য করে হুঁশিয়ারি দিয়েছিলেন প্রবীণ সাংসদ সৌগত রায়। তৃণমূল সমালোচকদের গায়ের চামড়া দিয়ে পায়ের জুতো তৈরির নিদান দিয়েছিলেন তিনি। সেই বিতর্কিত মন্তব্যে আঁচ যে রয়ে গিয়েছে এখনও তা আবার স্পষ্ট হল বিরোধীদের কটাক্ষ থেকে। জলপাইগুড়ির একটি সভায় উপস্থিত হয়ে শনিবার সৌগত রায়ের বক্তব্যের পাল্টা মন্তব্য করতে শোনা গেল বাম নেত্রী মীনাক্ষী মুখোপাধ্যায়ের গলায়। বলেন, ‘২০ তারিখ ইন্সাফ সভার শেষে সৌগত বাবুকে ভাল চামড়ার জুতো গিফট করে আসব। আর সেইদিন দেখব কার গায়ের চামড়া দিয়ে কার পায়ের জুতো হয়।’
শনিবার জলপাইগুড়ি জেলা কমিটির ২২ তম জেলা সম্মেলন উপলক্ষে তোরল পাড়া ময়দানে প্রকাশ্য সমাবেশ ছিল। এই সমাবেশে উপস্থিত ছিলেন ডিওয়াইএফআই (DYFI) এর সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক হিমগ্নরাজ ভট্টাচার্য, রাজ্য সম্পাদিকা মীনাক্ষী মুখোপাধ্যায়, জেলা সম্পাদক প্রদীপ দে সহ অন্যান্য নেত্রী বৃন্দ। এদিনের সভায় মানুষের ঢল নেমেছিল। মাঠ কানায় কানায় ভর্তি হয়ে যায়। সভায় শেষ বক্তা ছিলেন মীনাক্ষী। আর এই নেত্রীর বক্তব্য শোনার জন্য ভেজা মাঠে ঘাসের ওপর ঘণ্টাভর বসে রইলেন মানুষজন।
কী বলেছিলেন সৌগত?
‘যারা আমাদের বেশি নিন্দা করছে, এরপর আমি বলব তৃণমূলের সমালোচকদের গায়ের চামড়া দিয়ে পায়ের জুতো তৈরি হবে।’
এদিন মীনাক্ষী মুখোপাধ্যায় তার বক্তব্যে বিভিন্ন ইস্যুতে রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে সুর চড়িয়ে বলেন, ‘আগে জানতাম কেষ্টর মাথায় কম অক্সিজেন যায়। এখন কেষ্ট ধরা পড়ার পর দেখতে পাচ্ছি দিদির মাথায় কম অক্সিজেন যাচ্ছে।’ এরপর পার্থ চট্টোপাধ্যায় ও অর্পিতা মুখোপাধ্যায়ের বিষয়ে ব্যাঙ্গ করে বাম নেত্রী বলেন, ‘প্রতিদিন আট হাজার টাকার ফল খেলে গ্ল্যামার ধরে রাখা যায়। বান্ধবীও জোটে।’
এখানেই শেষ নয়, আনিস খানের মৃত্যুর তদন্ত নিয়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কেও হুঁশিয়ারি দেন মীনাক্ষী। বলেন, ‘আনিসের বাড়িতে সেদিন রাতে আমতা থানার পুলিশ কেন গিয়েছিল তা নিয়ে মুখ্যমন্ত্রীকে শ্বেতপত্র প্রকাশ করতে হবে।’