জলপাইগুড়ি: জলপাইগুড়ি জেলায় মুখ্যমন্ত্রীর সফর ঘিরে প্রশাসনিক তৎপরতা তুঙ্গে। কিন্তু এর মধ্যেও দুষ্কৃতী দৌরাত্ম্য চলছে। অভিযোগ, দিনে দুপুরে বেআইনিভাবে চলছে নয়ানজুলি ভরাটের কাজ। খবর সংগ্রহে গিয়ে দুষ্কৃতীদের হাতে আক্রান্ত সংবাদ মাধ্যমও। ঘটনাটি ঘটেছে জলপাইগুড়ির গয়েরকাটাগামী এশিয়ান হাইওয়ে ৪৮ পাশে থাকা নয়ানজুলিতে।
অভিযোগ, একদিকে যেমন সরকারি জায়গা দখলের কাজ চলছে, তেমনই চলছে নয়ানজুলি ভরাট। পরিকল্পিত ভাবে এই কাজ করা হচ্ছে বলে জানা গিয়েছে। এলাকাবাসীর অভিযোগ, প্রথমে সরকারি জায়গার দখল নেওয়া হচ্ছে। তারপর সেগুলিকে চড়া দামে বিক্রি করে দেওয়া হচ্ছে। এর আগেও জমি মাফিয়াদের বিরুদ্ধে এরকম একাধিক অভিযোগ উঠেছিল। বেআইনিভাবে সরকারি জলাভূমি ভরাটকারি এক প্রোমোটার বললেন, “অনুমতি নেওয়া হয়নি। তবে কালভার্ট বাসানো হচ্ছে। পুলিশ এসেছে। দেখেশুনে গিয়েছে।” তবে সংবাদ মাধ্যম তাঁকে আরও প্রশ্ন করতেই বললেন, “ধুর ছাড়ুন তো।”
বিরোধীদের অভিযোগ, শাসকদলের নেতাদের একাংশের মদতেই চলছে এই বেআইনি জমি ভরাটের কাজ। অনেক ক্ষেত্রেই ভূমি সংস্কার দফতর সবটা জেনেও নাকি চুপ থাকে। বিজেপি ধূপগুড়ি কনভেনার চন্দন দত্ত বলেন, “কখনও সরকারি জমি প্রমোটাররা দখল করছে। কখনও পার্টি অফিস বানাচ্ছে। আগেও হয়েছে। এখনও হচ্ছে।” এলাকার পঞ্চায়েত প্রধান সুপর্ণা রায় বলেছেন, “এই বিষয়ে আমি কিছুই জানি না। যদি বেআইনি ভাবে হয় তাহলে যেন দোষীরা শাস্তি পায়।”তৃণমূল জেলা সম্পাদক অরূপ দে আবার বিজেপি-র দিকে আঙুল তুলে বলেছেন, “এর সঙ্গে তৃণমূলের কোনও যোগ নেই। বিজেপির লোকজনই এই কাজ করছে। যদি এই ঘটনা ঘটে তাহলে অবশ্যেই দোষীদের শাস্তির দাবি করছি।”