Video: বৃদ্ধতন্ত্রে বৃদ্ধাঙ্গুষ্ঠ! ব্যারিকেডের উপরে চড়ে বসলেন পঁয়ষট্টির ‘তরুণ’ সেলিম
CPIM: এ যেন একেবারে 'যুবক' সেলিম। ব্যারিকেড ভেঙে ঝটপট উঠে গেলেন উপরে। কিছক্ষণ পর আবার লাফিয়ে নামলেন নীচে। আর তারপর সোজা চলে গেলেন সভামঞ্চের দিকে।
জলপাইগুড়ি: মহম্মদ সেলিম। সিপিএম রাজ্য সম্পাদক। কিছুদিন আগেই বাম ছাত্র-যুবদের ‘ইনসাফ’ সভা থেকে, ‘বামেদের কালো চুলের ঢল’ দেখিয়েছিলেন সেলিম। বুঝিয়ে দিয়েছিলেন, বামেদের আগামী প্রজন্ম তৈরি রয়েছে। আর এবার ৬৫ বছর বয়সি মহম্মদ সেলিমকে দেখা গেল একেবার অন্য রূপে। বয়স যে বাড়ছে, তা শুক্রবারের সেলিমকে দেখে বোঝা মুশকিল। এ যেন একেবারে ‘যুবক’ সেলিম। ব্যারিকেড ভেঙে ঝটপট উঠে গেলেন উপরে। কিছক্ষণ পর আবার লাফিয়ে নামলেন নীচে। আর তারপর সোজা চলে গেলেন সভামঞ্চের দিকে। বয়সের ছাপ যে শরীরে তিনি পড়তে দেননি, তা এদিনের চিত্র দেখে অনেকেই অনুমান করতে পারবেন।
শুক্রবার জলপাইগুড়িতে বামেদের জেলা পরিষদ অভিযানের ডাক দেওয়া হয়েছিল। মূলত একশো দিনের কাজ নিয়ে যে সব অভিযোগগুলি উঠে আসছিল, সেই ইস্যুগুলিকে তুলে ধরেই এদিন প্রতিবাদে সামিল হয়েছিলেন বামেরা। একশো দিনের কাজের বকেয়া টাকা অবিলম্বে দিতে হবে, সেই সঙ্গে আরও একগুচ্ছ দাবি-দাওয়া ছিল। কর্মসূচিকে কেন্দ্র করে ভিড়ও হয়েছিল চোখে পড়ার মতো। দুপুর ৩টে নাগাদ শুরু হয় মিছিল। জলপাইগুড়ি নেতাজি পাড়া মডার্ন ক্লাবের মাঠ থেকে মিছিল এগোতে থাকে। নেতৃত্বে সিপিএম রাজ্য সম্পাদক মহম্মদ সেলিম। চাঁদিফাটা রোদ্দুরে প্রায় আড়াই কিলোমিটার রাস্তা মিছিলে হাঁটেন সেলিম। সঙ্গে ছিলেন সিপিএম জলপাইগুড়ি জেলা সম্পাদক সলিল আচার্য, এসএফআই নেতা সায়নদীপ মিত্র, আরএসপি-র প্রাক্তন বিধায়ক নির্মল দাস, ফরওয়ার্ড ব্লক নেতা তথা প্রাক্তন বিধায়ক গোবিন্দ রায় সহ অন্যান্যরা।
মিছিলের জন্য আগে থেকে সতর্ক ছিল পুলিশ প্রশাসনও। ব্যারিকেড তৈরি করে রাখা ছিল সেখানে। তবে সেই সব ভেঙেই এগোতে থাকে মিছিল। প্রথম ব্যারিকেডের পর দ্বিতীয় ব্যারিকেড ভাঙার পরই অন্য মূর্তি মহম্মদ সেলিমের। ঝটপট উঠে গেলেন ব্যারিকেডের উপরে। তারপর লাফ দিয়ে নীচে নেমে আবার চলে গেলেন সভামঞ্চের দিকে। বিশিষ্ট চা শ্রমিক নেতা তথা সিপিএম রাজ্য কমিটির সদস্য জিয়াউর আলমও ছিলেন এদিনের কর্মসূচিতে। তিনিও ওই একই কায়দায় লাফিয়ে নামেন ব্যারিকেড থেকে।