Jalpaiguri: জলপাইগুড়িতে এত ফেল! ৭ হাজারের বেশি পরীক্ষার্থীই পাস করেনি, কারণটা কী?
Jalpaiguri School: পর্ষদের তরফে দেওয়া তথ্য অনুযায়ী জানা গেছে, জলপাইগুড়ি জেলা থেকে এবার মাধ্যমিক পরীক্ষা দিয়েছিল ২৩,০০০ এর বেশি ছাত্র ছাত্রী। যার মধ্যে ২২.৯১% ছাত্র এবং ২৬.০৪ % ছাত্রী অকৃতকার্য। এতেই কপালে ভাঁজ শিক্ষানুরাগী মহলের।

জলপাইগুড়ি: রেজাল্ট বেরিয়েছে মাধ্যমিকের। তালিকা প্রকাশ হতেই দেখা যাচ্ছে পূর্ব মেদিনীপুর থেকে কালিম্পংয়ে সার্বিক ফলাফল ভালই হয়েছে। তবে সমীক্ষায় দেখা গিয়েছে, ফেলের হারে সবার উপরে রয়েছে জলপাইগুড়ি। ৩০.৫৩ শতাংশেরও বেশি মাধ্যমিক পরীক্ষার্থী অকৃতকার্য।
বিগত বেশ কয়েকবছর ধরে রাজ্যের সমস্ত জেলা ধরে ধরে যদি মাধ্যমিকের ফল বিশ্লেষণ করা যায় তবে জলপাইগুড়ি জেলা একেবারে পিছনের সারিতে ছিল। কিন্তু এর মধ্যেও ২০২৩ সাল পর্যন্ত রাজ্যের প্রথম দশ কৃতীদের মধ্যে দু’একজন ছাত্র ছাত্রী জলপাইগুড়ি জেলায় থাকত। গত বছর থেকে সেই গুড়েও বালি! ২০২৪ সাল এবং ২০২৫ সালে একজনও মেধা তালিকায় স্থান পায়নি। উল্টে আবার বেড়েছে ফেলের হার। আর এতেই হতাশ শিক্ষানুরাগী মহল।
পর্ষদের তরফে দেওয়া তথ্য অনুযায়ী জানা গেছে, জলপাইগুড়ি জেলা থেকে এবার মাধ্যমিক পরীক্ষা দিয়েছিল ২৩,০০০ এর বেশি ছাত্র ছাত্রী। যার মধ্যে ২২.৯১% ছাত্র এবং ২৬.০৪ % ছাত্রী অকৃতকার্য। এতেই কপালে ভাঁজ শিক্ষানুরাগী মহলের।
খারাপ ফল প্রসঙ্গে স্কুলের শিক্ষকদের দুষেছেন ডিআই বালিকা গোলে। তিনি বলেন, “মেধা তালিকায় যাতে জলপাইগুড়ি স্থান পায় তার জন্য স্কুল গুলিকে আরও বেশি সচেষ্ট হতে হবে।” জয়েন কনভেনার মনজিৎ রায় বলেন, “এবার তো খুব ভাল পরীক্ষা হয়েছে। আমরা আশা করছিলাম এবার ভাল পরীক্ষা হবে। ভেবেছিলাম জলপাইগুড়ি প্রথম দশে থাকবে। কিন্তু হল না। আসলে চা বাগানের অনেক বাচ্চা আছে। যাঁদের আবার প্রথম প্রজন্ম পরীক্ষা দিচ্ছে। কিন্তু চিন্তার বিষয় নেই। আগামীতে নিশ্চয় ভাল ফল হবে।”





